Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইউক্রেনকে মার্কিন সতর্কতা মূল রুশ ভূখণ্ডে হামলা নয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে যেন কোনোভাবেই হামলা না করা হয়, সেজন্য শুরু থেকেই ইউক্রেনকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জন কিরবি। রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, ‘নিশ্চিতভাবেই আমরা ইউক্রেন বাহিনীকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে উৎসাহ দেবো না, বাধ্যও করব না। আমরা এই শর্তেই ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছি— তার যেন বাইরের আক্রমণ থেকে নিজ ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে পারে। সম্প্রতি ইউক্রেনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সেই দানিলভ বলেছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা চালাবে। তার এই কথার প্রতিক্রিয়ায় রোববার এ বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদের এই কর্মকর্তা। সাক্ষাৎকারে জন কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই এই যুদ্ধ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং বলে আসছি— এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া আমাদের কারোরই উচিত হবে না, যা ইউক্রেন-রাশিয়া বা বৃহৎ অর্থে এই বৈশ্বিক মানব সভ্যতার জন্য হুমকির কারণ হয়ে ওঠে।’ চলতি মাসে রাশিয়ার দু’টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। যে ঘাঁটিগুলোতে হামলা করা হয়েছে, সেগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে শত শত মাইল দূরে, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে। ওই আঘাতের পরই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছিলেনÑ রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করবে না। ২০১৪ সালে রাশিয়ার কাছে ক্রিমিয়া খোয়ানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য তদবির শুরু করেছিল ইউক্রেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন প্রতিবেশী এই দেশটির সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলার পর চলতি বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন ভøাদিমির পুতিন। এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যেসব দেশ ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে, তাদের মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পর্যন্ত ইউক্রেনে প্রায় ১ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়েছে দেশটি। ইউক্রেনকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলা করতে নিষেধ করার মূল কারণ— পারমাণবিক অস্ত্রের ঝুঁকি। গত সপ্তাহে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে ‘যে কোনো উপায়ে’ তার জবাব দেবে মস্কো। বিশ্বের একক দেশ হিসেবে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে রাশিয়ার। দেশটির অস্ত্রাগারে প্রায় ৬ হাজার বিভিন্ন পাল্লার পরমাণু বোমা আছে। এবিসি রেডিও।



 

Show all comments
  • Jahangir Alom ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:০৮ এএম says : 0
    সঠিক মন্তব্য করেছে রাশিয়া, মার্কিনীরা যুদ্ধ উস্কে দিয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • Kashem Nahor ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:০৮ এএম says : 0
    ইউরোপের সমস্যা হলে আমেরিকার কি আসে যায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Parvej Chowdhury ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:০৮ এএম says : 0
    সবশেষে পারমাণবিক যুদ্ধর অপেক্ষা কারন আলোচনা সব রাস্তা বন্ধ ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Halim Khan ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:০৯ এএম says : 0
    ঐ তো যুদ্ধে হেরে গেছে আমেরিকা । এখন গোটা আমেরিকা রাশিয়ার পারমাণবিক বোমার অধীনে এসে গেছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • মো রাজু হোসেন ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫২ এএম says : 0
    এমন যুধ্যমান পরিবেশ কেউ চায়না এই পুুরো বিশ্বের জন্যই খতির কারন বিশেষ করে ছোটো ছোট দেশের খোতি বড় হয়ে দারিয়েছে এমনেতো করোনাভাইরাসের ছোবলে পুরো বিশ্বকে থমকে দিয়েছে তার ওপরে আবার যুধ্য
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ