নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মরক্কোর শেষ আটে খেলাটাই দলটির সমর্থকদের জন্য ছিল উৎসবের বড় উপলক্ষ। তবে চমকের পর চমক দেখানো হাকিমি-জিয়াশদের স্বপ্নময় পথচলা যেন থামবার নয়। পর্তুগালকে বিদায় করে তাদের সেমি-ফাইনালের টিকেট পাওয়া আনন্দের ব্যপ্তি ছুঁয়েছে আকাশ। মরক্কোর পাশাপাশি প্রিয় দলের অবিশ্বাস্য সাফল্য উদযাপনে মেতে উঠেছে আফ্রিকা ও আরব দেশগুলোও। গতপরশু রাতে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে তৃতীয় কোয়ার্টার-ফাইনালে প্রথমার্ধে ইউসেফ এন-নেসিরির করা একমাত্র গোলে পর্তুগালকে হারায় মরক্কো। এর মাধ্যমে ইতিহাস গড়ে ওয়ালিদ রেগরাগির দল। আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে জায়গা করে নেয় বিশ্বকাপের শেষ চারে। ম্যাচ শেষ হতেই আল থুমামা স্টেডিয়ামে আনন্দ হিল্লোল বয়ে যায় মরক্কোর ভক্তদের মধ্যে। নেচে, গেয়ে বাধনহারা উদযাপন করেন তারা। স্টেডিয়ামের বাইরেও চলতে থাকে একই ধারা। উচ্ছ¡াসের ব্যপ্তি ছড়িয়ে যায় আইভরি কোস্টের আবিদজান থেকে শুরু করে সউদী আরবের রিয়াদ পর্যন্ত।
মরক্কোর রাবাতে একটি ক্যাফেতে খেলা দেখতে এসেছিলেন সিহাম মোতাহির নামের এক তরুণী। ম্যাচ শেষে রয়টার্সকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, তাদের চোখ এখন ফাইনালের দিকে, ‘তারা আমাদের আনন্দিত ও গর্বিত করেছে এবং তারা প্রমাণ করেছে যে তারা ফাইনালে উঠতে পারে। আর কেন নয়? আফ্রিকা ও আরবদের সমর্থিত এই দলটির জন্য আমরা খুব গর্বিত।’ শেষ বাঁশি বাজতেই রাবাতের কেন্দ্রস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। ছন্দ মিলিয়ে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, মরক্কোর পতাকা নেড়ে মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দিনটি আপন করে নেন তারা।
নিজেদের দল বিশ্বকাপে শেষ ষোলোর আগে বিদায় নিলেও মরক্কোর সাফল্য ছুয়ে গেছে ক্যামেরুনেও। আগউই জেফারসন নামের একজন চালক বলেন, ‘ওয়াহ, ওয়াও... মরক্কো! এটি খুব আনন্দের বিষয়! আফ্রিকা জ্বলজ্বল করছে! আফ্রিকা এগিয়ে যাও!’ আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার বন্দর নগরী মিসরাতাতে লাল শিখা জ্বালিয়ে লিবিয়ান ও মরক্কোর পতাকা নিয়ে খেলা দেখেন ভক্তরা। মরক্কোর জয়ের পর তিউনিসিয়ার রাজধানীতে লোকেরা বিজয় উদযাপন করেন।
শেষ ষোলোয় স্পেনকে হারানোর পর ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে ছবি তুলেছিলেন মরক্কোর খেলোয়াড়রা। নিজ দেশের প্রতি তাদের এই সমর্থন ছুয়ে গেছে ফিলিস্তিনের জনগণের মধ্যে। দেশটির ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও ফুটবল স্টেডিয়ামগুলোতে ম্যাচের স্ক্রিনিং ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ। মরক্কোর জয়ের সাথে উল্লাসে ফেটে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ফিলিস্তিনের গাজার ব্যবসায়ী ইমাদ জুদাতের কাছে মরক্কোর এই বিজয়ের আনন্দ তার দেশের জয়ের সমান, ‘মরোক্কোর ফুটবলারদের ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো দেখে আমাদের মনে হয়েছিল যেন আমরাই জিতেছি।’
বিপুল সংখ্যক মরক্কানদের উপসাগরে বসবাস ও কাজের সুবাদে থাকার কারণে কাতারে দেশটির ম্যাচগুলো দেখে মনে হচ্ছে যেন দলটি খেলছে নিজেদের মাঠেই। দুবাই-ভিত্তিক ব্যাঙ্কার ইসমাইল চাকুউর পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচ দেখার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। তিনি বলেন, ‘যত খরচই হোক না কেন’, ম্যাচে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। রাবাতে উদযাপনে শামিল হওয়া সামির সাকরির কাছে ম্যাচের শেষের দিকে প্রতিটি মুহূর্ত যেন থমকে যাচ্ছিল, ‘শেষ কয়েক মিনিট কয়েক ঘন্টার মতো মনে হয়েছিল।’
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া। পরদিন একই সময় দ্বিতীয় সেমিতেই মরক্কোর প্রতিপক্ষ ফ্রান্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।