মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘তুমি দেখেছ কি অগুনতি মানুষের ভিড়ে হেঁটে যাওয়া, কোনও এক মেয়ে?’ নচিকেতা চক্রবর্তীর এই গান কে না শুনেছে? গানটি শুনলেই ঈষৎ শ্লথগতিতে ক্লান্ত পায়ে একটি মেয়ের বাড়ি ফেরার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে। কিন্তু এটা কোনও ব্যতিক্রমী দৃশ্য নয়। ভারতে যত জন পুরুষ হেঁটে চাকরি করতে যান, তাদের থেকে ঢের বেশি নারী পায়ে হেঁটে কর্মক্ষেত্রে পৌঁছন। এমনটাই দাবি বিশ্ব ব্যাংকের এক সাম্প্রতিক রিপোর্টের।
সেই রিপোর্টের দাবি, মহিলাদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ শতকরা ৪৫.৪। পুরুষদের ক্ষেত্রে তা ২৭.৪ শতাংশ। এখানেই শেষ নয়। কেবল তাই নয়, গণপরিবহণও বেশি ব্যবহার করেন মেয়েরাই। সমীক্ষা বলছে, যে মহিলারা হেঁটে নয়, গাড়ি বা বাস বা অন্য কোনও কিছুতে করে কাজের জায়গায় যান, তাদের মধ্যে ৮৪ শতাংশই গণপরিবহণ ব্য়বহার করেন। নিজের গাড়ি বা অন্য মাধ্যম নয়।
মুম্বইয়ে ৬ হাজারের সামান্য বেশি মানুষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ২০০৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতেই দেখা গিয়েছে, অনেক বেশি পুরুষ বাইক বা অন্য টু হুইলারে অফিস যান। অন্য দিকে মহিলারা অটো কিংবা ট্যাক্সির মতো পরিবহণ ব্যবহার করেন। যা তুলনায় বেশি খরচসাপেক্ষ।
বিশ্বব্যাংকের ওই রিপোর্ট তৈরির পিছনে উদ্দেশ্যই ছিল ভারতের শহরাঞ্চলে কীভাবে গণপরিবহণগুলিকে তৈরি করা উচিত, যাতে মহিলারা নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন। রিপোর্টে উঠে এসেছে মহিলাদের সমস্যার দিকটা। তাতে বলা হয়েছে, তুলনামূলক ভাবে ধীরগতির যান ব্যবহার করতে হয় মেয়েদের। উদ্দেশ্য, যাতায়াতের খরচ বাঁচানো। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, নিরাপত্তার অভাবের কারণে বহু মেয়েই বাড়ি থেকে বেরতে দ্বিধাবোধ করেন। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।