গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) একজন পুলিশ সদস্যের হেনস্থার শিকার হয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য এবং বেসরকারি নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাইদ আরমান। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন (বুম) কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় আজ রোববার এক বিবৃতিতে ডিআরইউ’র কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাইদ আরমান জানান, আজ জাতীয় সংসদে বিএনপি দলীয় এমপিরা পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংসদের ভেতরে এবং বাইরে থেকে দফায় দফায় লাইভ দিয়েছেন রিপোর্টাররা। আমিও দিয়েছি। বিএনপির এমপিরা পদত্যাগপত্র দিয়ে যাওয়ার পর আমি সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাংখিতভাবে আমার মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। আমাকে সেখান থেকে জোর করে সরিয়ে দেন। আমি মনে করি, এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।
এদিকে, বিবৃতিতে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে যেভাবে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে, এটা ন্যাক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান ডিআরইউ নেতারা। একই সাথে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহবান জানিয়েছেন।
একই সাথে গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এসব ঘটনারও নিন্দা জানিয়েছে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।