Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নবজাতকের লাশ নিয়ে বের হলেন বাবা

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

লেবাননের বাসিন্দা হোসেইন আল-বারিনির (৪৩) একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মৃত সন্তানকে কোলে নিয়ে হেঁটে হাসপাতাল ছাড়ছেন তিনি। গাড়ি থাকা সত্ত্বেও শিশুপুত্রের লাশ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন তিনি! কেন? কারণ হাসাপাতাল থেকে বলেছে, বিল শোধ না করলে ছেলের লাশ নিতে পারবেন না আল-বারিনি। কিন্তু তার পক্ষে বিল শোধ করা সম্ভব ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালে গাড়ি বন্ধক রেখে ছেলের লাশ নিয়ে বের হয়েছেন। সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নীল তোয়ালেতে জড়িয়ে শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে বাড়ির পথে পা বাড়িয়েছেন আল-বারিনি। উত্তর লেবাননের আক্কারের ফানাইদেক শহরে তার বাড়ি। সেখানকার খালাফ আল-হাবতুর প্রাইভেট হাসপাতালে গাড়ি বন্ধক রেখে সন্তানকে নিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছেন তিনি। আনাদোলু এজেন্সিকে আল-বারিনি জানান, ২৫ দিনের শিশুপুত্রের নিথর দেহ হাসপাতাল থেকে নিতে তাকে দুই হাজার চার শ’ ডলার (মার্কিন) শোধ করতে হতো, যা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই হাসপাতালে গাড়ি বন্ধক রাখতে হয়েছে। তিনি জানান, খালাফ আল-হাবতুর হাসপাতাল থেকে তাকে ফোন দিয়ে বলা হয়, জন্মের পর থেকেই আইসিইউ’তে থাকা তার ২৫ দিনের শিশুপুত্র মারা গেছে। আল-বারিনি বলেন, ‘আমি সাথে সাথে হাসপাতালে ছুটে যাই মৃত সন্তানকে নিয়ে আসতে। তখন এক কর্মচারী আমাকে দুই হাজার চার শ’ ডলারের (মার্কিন) বিল হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু ওই সময় আমার হাতে কেবল চার শ’ ডলার ছিল। আমি তাকে জানালে তিনি কোনো জামিনদার ছাড়া আমাকে লাশ দিতে রাজি হন না।’ এ ব্যাপারে হাসপাতালের মহাপরিচালক রাওয়া আল-আহদাব বলেন, ‘আমি জানি লেবাননের মানুষের আর্থিক অবস্থা এখন কেমন, বিশেষ করে আক্কার প্রদেশে। বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনা শোনার পর ওই ব্যক্তিকে (আল-বারিনি) আমি ডেকে আনি। তাকে সমবেদনা জানাই এবং তার গাড়ির চাবি ফিরিয়ে দেই। এবং ওই কর্মচারীরর আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করি। মিডল ইস্ট মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ