Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চীন সফরে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল

তেল বাণিজ্যে চীনের মুদ্রা ব্যবহারের আহ্বান শি’র

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সম্পর্ক উন্নয়নে চীনে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্পর্ক উন্নয়নের অঙ্গীকার করার পর যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো চীনে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে। পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্ক এবং চীন ও তাইওয়ানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সিনিয়র ডিরেক্টর লরা রোজেনবার্গার ১১ থেকে ১৪ ডিসেম্বর একসাথে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সফর করবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, চীনে ক্রিটেনব্রিঙ্ক গত মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জো বাইডেন ও শি জিন পিংয়ের মধ্যে একটি বৈঠকের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করবেন। ওই বৈঠকে উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র খুঁজে বের করার অঙ্গীকার করেন। এছাড়াও, ক্রিটেনব্রিঙ্ক ২০২৩ সালের প্রথম দিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এর চীন সফরের প্রস্তুতি নিয়েও কাজ করবেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দুইটি দেশ অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় সামরিক খাতে বেশি ব্যয় করে। এছাড়া দুই দেশ তীব্র কৌশলগত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। অপর দিকে, সউদী আরবের রাজধানী রিয়াদে উপসাগরীয় আরব সম্মেলনে ডলারের পরিবর্তে চীনের মুদ্রা ইউয়ানে তেল ও গ্যাসের বাণিজ্য করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং। ইউয়ানে এই লেনদেন হলে আন্তর্জাতিকভাবে চীনের মুদ্রা প্রতিষ্ঠিত হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে ডলারের প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়বে। খবর ফক্স নিউজের। প্রতিবেদনে বলা হয়, রিয়াদে সউদী আরবের প্রভাবশালী ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের আয়োজিত আরব সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট এ আহ্বান জানান। এই সফরে শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক সউদী আরব ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন তাদের সম্পর্ককে আরও গভীর ও শক্তিশালী করার জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরব মানবাধিকার, জ্বালানি নীতি ও রাশিয়া নিয়ে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে দুই দেশ একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তেল বাণিজ্যে সউদী আরব যদি ডলার বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে তা ভূমিকম্পের মতো একটি রাজনৈতিক পদক্ষেপ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়েছিল সউদী আরব। আরব উপসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। এমন একটি সময়ে চীনের প্রেসিডেন্টের সউদী আরব সফর দেশটির সাথে এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। শুক্রবার উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতারা শি জিনপিংকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। আরব লীগের দেশগুলোর বাইরে উপসাগরীয় দেশ, লেভান্ত ও আফ্রিকার দেশগুলো সম্মেলনে যোগ দেয়। শুক্রবার আলোচনার শুরুতে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান উৎসাহের সাথে চীনের সাথে সম্পর্কের ঐতিহাসিক নতুন পর্বকে স্বাগত জানান। যা পাঁচ মাস আগে সউদী-মার্কিন সম্পর্কের বিপরীত। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছোট আকারের আরব সম্মেলনে যোগ দেন। চীনা প্রেসিডেন্টকে রাজকীয় অভ্যর্থনা দেওয়ার আলোকে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সউদী আরবের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদী জানান, সউদী আরব সব অংশীদারদের সাথে কাজ চালিয়ে যাবে। তারা মেরুকরণ বা পক্ষ নেওয়া পছন্দ করেন না। শি জিন পিংয়ের প্রেক্ষাপটে সউদী আরব ও চীন বেশ কয়েকটি কৌশলগত ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্ত সই করেছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বেইজিংয়ের সাথে রিয়াদের সম্পর্কের ভিত্তি মূলত জ্বালানি স্বার্থ। তবে চীনের কোম্পানিগুলো সউদী আরবে প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করছে। ফক্স নিউজ, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ