Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাস্কার আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মাউনা লোয়ার পর মাউন্ট সুমেরু, এবার চিলির লাস্কার। একের পর এক জেগে উঠছে পৃথিবীর আগ্নেয়গিরিগুলো। পুরোদমে চলছে লাভা উদ্গীরণ। শনিবার মধ্যরাতে চিলির আন্দিজের লাস্কার আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত হয়। তারপর থেকে লাভা এবং ছাই অবিরাম বিস্ফোরিত হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধোঁয়া, গ্যাস এবং লাভার প্লাম আকাশে ছয় হাজার মিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। মুহূর্তেই কেঁপে উঠছে এলাকার মাটি। ধোঁয়া, গ্যাস এবং গলিত লাভা প্রবল বেগে আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। চিলির ন্যাশনাল জিয়োলজি অ্যান্ত মাইনিং সার্ভিস জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃদু ভূমিকম্পের মাধ্যমে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। ধীরে ধীরে তার তেজ বাড়তে থাকে। সাথে সাথে পুরো এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগ্নেয়গিরি এলাকার পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যে বিমানগুলো ওই এলাকার আকাশসীমা ব্যবহার করবে সেগুলোকে ডাইভার্ট করা হয়েছে। কারণ ওই গরম ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলে যেকোনো বস্তু গলে যেতে পারে বা পুড়ে যেতে পারে। লাস্কার থেকে ধোঁয়া ও গ্যাস উঠছে ছয় কিলোমিটার উচ্চতায়। লাস্কার সর্বশেষ ১৯৯৩ সালে সম্পূর্ণরূপে বিস্ফোরিত হয়েছিল। এরপর ২০০৬ ও ২০১৫ সালে লাস্কারের জেগে ওঠার লক্ষণ দেখা যায়। যদিও সে সময় তা পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। এখনও পর্যন্ত কোনো বাসিন্দা আহত হয়নি এবং কোনো সম্পত্তি ধ্বংস হয়নি। বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতির উপর ঘনিষ্ঠ নজর রাখতে লাস্কারের নিকটতম শহর তালাব্রেতে অবস্থান করছেন। আগ্নেয়গিরি থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরে বসে সার্বক্ষণিক তদারকি চলছে। এই আগ্নেয়গিরিটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ মিটার উপরে অবস্থিত। প্রতি বছর এই সুপ্ত আগ্নেয়গিরি দেখতে সারা দেশ থেকে মানুষ ভিড় করে। মূল বিন্দু থেকে ৭০ কিমি দূরে অবস্থিত সান পেড্রো আতাকামা, প্রধান পর্যটক আকর্ষণ। তবে চিলির লাস্কারই প্রথম নয়, সম্প্রতি আরও অন্তত দুইটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের খবর পাওয়া গেছে। ৩৮ বছর পর আবার জেগে উঠেছে হাওয়াইয়ের মাউনা লোয়া। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। মাউনা লোয়া তার সূচনা থেকেই ক্রমাগত লাভা ছড়াচ্ছে। আগ্নেয়গিরিটি হাওয়াই দ্বীপের প্রায় অর্ধেক জুড়ে রয়েছে। ১৮৪৩ সাল থেকে এই আগ্নেয়গিরিটি মোট ৩৩ বার জেগে উঠেছে। মাউনা লোয়া সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে বিস্ফোরিত হয়েছিল। এর পর দীর্ঘ ৩৮ বছর শান্ত ছিল সে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা প্রদেশের মাউন্ট সুমেরু থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। ভয়ে গ্রামবাসীরা অন্যত্র চলে গেছে। সুমেরু পর্বতের উচ্চতা ৩ হাজার ৬৭৬ মিটার। এটি ইন্দোনেশিয়ার ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি। এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ