পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করে বিএনপি যে আশাবাদী মনোভাব পোষণ করছে এবং খুশি খুশি ভাব প্রকাশ করেছে তা যেন শেষ পর্যন্ত থাকে। এই খুশি ভাব যেন শেষ পর্যন্ত বিষাদে পরিণত না হয়। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অনেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আমাদের দোষ না। ওই নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি বলেই এমন হয়েছে।
গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান খান। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করতে সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে সংলাপ ডেকেছেন। তাতে প্রথমদিন বিএনপি অংশ নিয়েছে। ওই বৈঠকে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি আশাবাদী। আর বিএনপি বলেছে, তারাও বেশ খুশি। রবিবার বঙ্গভবনে সংলাপ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আজকে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে খুশি হয়েছি, আশাবাদী হয়ে উঠেছি।’
২০১২ সালে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জিল্লুর রহমান সাহেবও সংলাপ ডেকেছিলেন। প্রথম দিন এসে তারা (বিএনপি) বলেছিল ফলপ্রসূ আলোচনা, খুশি খুশি কিন্তু পরবর্তীতে তারা তাদের খুশিভাব দেখাতে পারে নাই।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুন্দর এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। জনগণ যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। এক্ষেত্রে সরকার এবং দলের কোন বাধা এবং হস্তক্ষেপ থাকবে না।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরা সবাই দায়িত্বশীল হলে আজ দেশের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতে পারতো। রাজনীতিবিদদের সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ট্রেন মিস করেছেন। নির্বাচন ঠেকানোর নামে জ্বালাও পোড়াও করে কোনও লাভ হয়নি। আমি জানি, আগামী নির্বাচনে তারা সেই ভুল আর করবেন না।
বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবী ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপি একটি মাজা ভাঙা দল, আমরা সে কথা বলবো না।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক একমাত্র বঙ্গবন্ধু। পাঠক অনেকেই হতে পারেন। ঘোষক আর পাঠক এক নয়।
বঙ্গবন্ধুই স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাস ও এদেশের মানুষের জীবনে একাত্তরের বিজয়ের চেয়ে বড় গর্ব ও অহংকার আর কিছু নেই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা বুঝে কর্মসূচি দিয়েছিলেন বলেই ৭০ সালের নির্বাচনে মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়ে বিপুলভাবে বিজয়ী হয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার বৈধতা পেয়েছিলেন। তাই ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার একমাত্র ঘোষক। আর অন্যরা পাঠক হতে পারে। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পাঠক একাধিক থাকতে পারে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নাই। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের উপর অর্পিত দায়িত্ব কর্তৃত্বপূর্ণ ও স্বাধীনভাবে পালন করবে বলেই আমরা মনে করি। বিএনপি’র প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে কোনো কোনো বুদ্ধিজীবী হাঁটুভাঙা দল বললেও আমি তা বলবো না। তবে বিএনপি এখন নালিশি পার্টিতে পরিণত হয়েছে। প্রেসিডেন্টের সাথে সংলাপের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা খুব খুশি। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপি’র এ খুশি থাকলেই ভালো। শেষে আবার এ খুশি বিষাদে পরিণত না হয়।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ডা. এ এস এম জাকারিয়া স্বপন, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের সমন্বয়ক প্রফেসর ডা. মো. হারিসুল হক। পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বিএম আব্দুল হান্নান।
ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, শিক্ষা, রাজনীতি, সমাজ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো সংস্কৃতি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেই মাঝে মধ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। এতে করে ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের মাঝেই প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে এসেছে এবং একটি উৎসবমুখবর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের গান, নজরুলগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়, লোকসংগীত, আধুনিক গান, নৃত্য ও বক্তৃতা পর্ব এ ৯টি শাখায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।