পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইটে দেশের সব মদের বার বন্ধ থাকবে। এছাড়া ‘থার্টি ফার্স্টের দিন সন্ধ্যা ৬টার পর কোনও উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান করা যাবে না। যদি কেউ ইনডোরে কোনও অনুষ্ঠান করতে চান, তাহলে আগে থেকেই পুলিশকে জানাতে হবে। কোনও আতশবাজিও ছোড়া যাবে না।’
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থার্টিফার্স্ট নাইটে গোটা শহরেই নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। গোয়েন্দা তৎপরতার পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পোশাকধারী পুলিশ। আর কূটনীতিক এলাকায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা থেকে সরকার এসব ব্যবস্থা নিচ্ছে কি নাÑ জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ ধরনের কোনো তথ্য নেই, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা এই পদক্ষেপগুলো নিয়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, বড় দিন উপলক্ষেও সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার থাকবে। বড়দিনের অনুষ্ঠান উদযাপন উপলক্ষে আগামী ২৫ ডিসেম্বর নিরাপত্তা জোরদার করা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৬২টি গির্জা রয়েছে। এগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ঢাকায় মিরপুর, কাকরাইল ও তেজগাঁওয়ের বড় তিনটি গির্জায় বিশেষ নজর রাখা হবে। সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। অনুষ্ঠান স্বাচ্ছন্দ্য করতে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক আবুল হোসেন, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতি উৎসাহী যুবকরা আইনশৃঙ্খলা মানতে চায় না। এ কারণেই ওই রাতকে ঘিরে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উন্মুক্ত স্থানে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। কূটনৈতিক জোনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।
উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান পালন নিষেধ মানুষের জন্য কোনও বাধা কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।