মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকার তার এশিয়ান মিত্রদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু দেশটির জনমত চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের বিরুদ্ধে চলে গেছে। তারা বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য কমানোর পক্ষেই মত দিয়েছেন। ব্লুমবার্গের বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও গত মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে- চীনে কানাডার রপ্তানি ৩.৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড করেছে, যা মাসিক বাণিজ্য হিসেবে সর্বোচ্চ। কিন্তু ব্লুমবার্গ নিউজের ন্যানোস রিসার্চ গ্রুপ জরিপে ৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে এশিয়ান পাওয়ার হাউস চীনের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য কমানোর পক্ষে। ২০২০ সালের চেয়ে জরিপে মতামতের ক্ষেত্রে ১৬ পয়েন্ট বেড়েছে এবার; সেবার ছিল ৪৫ শতাংশ।
জরিপে দেখা গেছে, ২৪ শতাংশ কানাডিয়ান বিশ্বাস করেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বর্তমান পর্যায়েই থাকা উচিত। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানো সবসময় শুভ নয় বলে মতামত দিয়েছেন দেশটির জনসাধারণ। মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
সাবেক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা ও অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন বিশেষজ্ঞ মার্গারেট ম্যাককুইগ-জনস্টন বলেছেন, কানাডিয়ানরা এখন জেগে উঠেছে। তারা জানে যে চীন আস্থাভাজন ব্যবসায়িক অংশীদার নয়। কারণ তারা তাদের দিকটাই সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখে।
অনুভূতির পরিবর্তনকে ‘সত্যিই নাটকীয়’ হিসাবে বর্ণনা করে ম্যাককুইগ-জনস্টন বলেছেন, যে চীন যখনই একটি রাজনৈতিক পয়েন্ট তৈরি করতে চায় তখনই কানাডিয়ান বাণিজ্য পণ্যগুলোতে ‘অ্যাভিল’ (নেহাই-যার ওপর ধাতু রেখে পেটানো হয়) নামানোর ইচ্ছার মাধ্যমে জনমত গঠন করা হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসনের অনুরোধে কানাডায় চীনা কোম্পানি হুয়াইওয়ের নির্বাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বেইজিং সরিষা, শুকরের মাংস এবং অন্যান্য কৃষি রপ্তানির চালান বন্ধ করে দেয়।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মধ্যে অস্বিস্তকর বাক্যবিনিময়ের একটি ভিডিও প্রকাশ পায়। যেটি কানাডার জনগণের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।