Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কেনিয়ায় পাকিস্তানি সাংবাদিককে হত্যা ছিল ‘পরিকল্পিত’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

কেনিয়ায় পাকিস্তানের একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিককে হত্যা করার বিষয়টি পূর্ব ‘পরিকল্পিত’ ছিল, বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে পাকিস্তানি তদন্তকারীদের একটি দল বলেছে। আরশাদ শরীফ, যিনি পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সমালোচক ছিলেন, অক্টোবরের শেষের দিকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উপকণ্ঠে পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সে সময় তিনি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। নাইরোবি পুলিশ পরে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, এটি একটি শিশু অপহরণ মামলায় জড়িত অনুরূপ গাড়ির সন্ধানের সময় ‘ভুল পরিচয়ের’ ঘটনা ছিল। শরীফের হত্যাকাÐের নিন্দা এবং স্বাধীন তদন্তের আহŸান জানানো হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ তদন্তের ঘোষণা দিয়েছেন এবং প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন যে, সরকারের তদন্তের ফলাফল জনগণের কাছে প্রকাশ করা হবে। সেনাবাহিনী এবং পাকিস্তানি সাংবাদিকরাও তদন্তের দাবি করেছেন, যেমন শরীফের বিধবা জাভেরিয়া সিদ্দিকী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা করেছিলেন। ৪৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক দেশদ্রোহিতার অভিযোগ সহ একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার এড়াতে আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরে নির্বাসিত জীবনযাপন করছিলেন, সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করার জন্য তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দেয়া হয়েছিল বলে মনে করা হয়। এদিকে, তার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসলামাবাদ পুলিশ কেনিয়ায় বসবাসরত দুই পাকিস্তানি ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত করেছে, যারা শরীফকে আফ্রিকার দেশটিতে জিম্মি করেছিল। তদন্তকারীদের ৫৯২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ার পুলিশ হত্যার পর পরস্পরবিরোধী বিবৃতি দিয়েছে। তদন্তের অংশ হিসাবে, দুই পাকিস্তানি কর্মকর্তা কেনিয়ায় গিয়েছিলেন যেখানে তারা পুলিশ এবং শরীফের হোস্ট, ভাই খুররাম এবং ওয়াকার আহমেদের সাথে দেখা করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুররম তদন্তকারীদের বলেছিলেন যে, গুলির সময় তিনি শরীফের সাথে গাড়িতে ছিলেন, রাতের খাবারের পরে বাড়ি যাচ্ছিলেন। তারা রাস্তা অবরোধ দেখেছেন, খুররম মনে করেছিলেন যে, ডাকাতরা সেটি স্থাপন করেছে। তারা দ্রæতগতিতে সেখান থেকে যাওয়ার সময় তিনি মারাত্মক গুলির শব্দ শুনতে পান, তিনি বলেন। খুররম বলেন, তারপরে তিনি তার ভাইকে ফোন করেছিলেন যিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন যে তিনি কয়েক কিলোমিটার দূরে পরিবারের ফার্মহাউসে না পৌঁছানো পর্যন্ত গাড়ি চালিয়ে যান। বাড়িতে পৌঁছানোর পর তার ভাইয়েরা দেখতে পান যে শরীফ ইতিমধ্যেই মারা গেছে, খুররামের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে। আল জাজিরার ম্যালকম ওয়েব, কেনিয়ার কাজিয়াডোতে হত্যাকাÐের স্থান থেকে রিপোর্ট করে বলেছেন, ঘটনার পর থেকে ভাইরা প্রেসের সাথে কথা বলেননি। যাইহোক, তাদের আইনজীবী বলেছেন যে, তারা ‘জড়িত ছিল না এবং তারা তাদের জীবনের জন্যও ভয় করছে’, ওয়েব বলেছেন। সূত্র : আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ