গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির শনিবারের (১০ ডিসেম্বর) সমাবেশ সামনে রেখে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে দলে দলে প্রবেশ করছেন নেতাকর্মীরা। এই মাঠে তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। অনুমতি পাওয়ার পরই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
যারা সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন তাদের বেশির ভাগই ঢাকার বাইরে থেকে এসেছেন। তারা সমাবেশে আসার পথে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা অনেকে আটক হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) গোলাপবাগ মাঠে আসা নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব কথা জানা যায়।
সিরাজগঞ্জ থেকে সমাবেশে আসা এক কর্মী বলেন, আমরা ১০ জনের একটি দল সমাবেশ উপলক্ষে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু আমাদের দুই জনকে পুলিশ আটক করেছে। আমাদের মামলা-হামলা করে দমিয়ে রাখা যাবে না। পুলিশ দিয়ে কোনোভাবেই জনগণকে থামিয়ে দেওয়া সম্ভব না। আমাদের এই মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও এ জায়গা পর্যাপ্ত নয়। তবুও যেকোনো অবস্থায় দলের সিদ্ধান্ত মানতে আমরা প্রস্তুত। ফরিদপুর থেকে আসা আরেক কর্মী জানান, আগামীকালের সমাবেশ শুধু বিএনপির সমাবেশ নয়, এ সমাবেশ গোটা বাংলাদেশের। বাংলাদের সব প্রান্ত থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকায় প্রবেশ করেছে। তাদের নানাভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। তবে পুলিশি বাধা পেরিয়ে সমাবেশ সফল হবেই। আমরা জিয়ার সৈনিক, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজপথে আছি, থাকব।
১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করার জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। দফায় দফায় আলোচনা শেষে সবশেষে রাজধানীর গোলাপবাগে সমাবেশ করার অনুমতি পায় বিএনপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।