গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা থেকে মা-বোনকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন সৌদিগামী মো. রাসেল সরকার। ঢাকায় এসে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপে বিপাকে পড়েন তিনি। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিজয়নগর এলাকার নাইটিঙ্গেল মোড়ে এসে তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পুলিশি জেরার পর ছেড়ে দেয়া হয় তাকে।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে আমি আমার মা এবং বোনকে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে তো ভেতরে ঢুকতে পারছি না। পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেছি কিন্তু কোনো রকমেই তারা আমাকে ঢুকতে দেয়নি। এখন আমি কী করব?
রাসেল সরকার বলেন, আমি চার বছর সৌদি আরব ছিলাম। দেশে আসার পর এখন আবারও চলে যাচ্ছি। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আমার ফ্লাইট। ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে টিকিটও কাটা হয়ে গেছে। ট্রাভেল এজেন্সি আমাকে বলেছে যেহেতু ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ, তাদের অফিস সেদিন বন্ধ থাকবে তাই শুক্রবার দুপুরের আগেই যেন এসে কাগজপত্রগুলো নিয়ে যাই। আমার টিকিট-পাসপোর্ট সবকিছুই এজেন্সির কাছে।
তিনি আরও বলেন, বাড়ি থেকে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি বাড়িতে আর ফিরব না বলে। তারা কিন্তু চাইলেই আমাকে ঢুকতে দিতে পারতো। এতগুলো ব্যাগ নিয়ে হয়তো এখন আমাকে আবার খুলনায় ফিরে যেতে হবে। শুধু রাসেল সরকার নয়, পল্টন এলাকার বিভিন্ন অফিস, বাসাবাড়ির মানুষও পুলিশের ব্যারিকেডে বিপাকে পড়েছেন। তারা বলেন, ভোগান্তির কথা বলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিলেও ব্যারিকেড দিয়ে উল্টো পুলিশই ভোগান্তি তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপি অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবুল হাসান জানান, ওপর থেকে নির্দেশনা আছে এই এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেয়া যাবে না। তারপরও আমরা ওই এলাকায় বসবাসরত বা যৌক্তিক কারণে কেউ এলে তাকে আমরা ঢুকতে দিচ্ছি। এক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যরা কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে চেক করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।