মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা চলাকালীন একজন অভিবাসী শ্রমিকের মৃত্যু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে কাতার বিশ্বকাপের প্রধান নির্বাহী নাসের আল-খাতার বলেছেন, ‘মৃত্যু জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ - এটি কর্মক্ষেত্রেই হোক কিংবা আপনার ঘুমের মধ্যে’। তবে তার এ মন্তব্যের নিন্দা করেছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।
ফিলিপাইনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, তাদের একজন নাগরিক রাজধানী দোহার দক্ষিণে অবস্থিত একটি রিসোর্টে কাজ করার সময় মারা যান। বুধবার দ্য অ্যাথলেটিক রিপোর্ট করে, ওই কর্মী সউদী আরব জাতীয় দলের ট্রেনিং সাইট সিলাইন রিসোর্টের কার পার্কিংয়ের লাইট ঠিক করার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। একটি ফোর্কলিফটের পাশ দিয়ে হাঁটার সুময় র্যাম্প থেকে পা পিছলে নিচে পড়ে কংক্রিটের সঙ্গে মাথায় আঘাত লেগে মৃত্যু হয় তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বকাপ চলাকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু কখন সেটা জানা যায়নি। ফিলিপাইন বিবৃতিতে জানায়, নিহতের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তারা আর বিস্তারিত জানাবেন না। এটি একটি টুর্নামেন্টের সর্বশেষ ঘটনা যেখানে অভিবাসী শ্রমিকদের, মহিলাদের এবং এলজিবিটিকিউ অধিকার নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসের আল-খাতার প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা বিষয়টি কেন তুলে ধরছেন।
কাতার বিশ্বকাপের আয়োজনকারী সুপ্রিম কমিটি ফর ডেলিভারি অ্যান্ড লিগ্যাসি (এসসি) এক বিবৃতিতে বলে, তদন্তের মুখে তারা পড়েনি। কারণ নিহত ব্যক্তি একজন ঠিকাদারি হিসেবে কাজ করছিলেন, এসসির অধীনে নয়। এনিয়ে প্রশ্ন করায় হতাশা প্রকাশ করে খাতার বলেন, ‘মৃত্যু জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, এটা হতে পারে কাজ করতে গিয়ে, আবার ঘুমের মধ্যেও। আমরা বিশ্বকাপের মাঝামাঝি জায়গায় আছি। আমাদের একটি সফল বিশ্বকাপ হচ্ছে। আর ঠিক এই সময়ে আপনারা এমন কিছু নিয়ে কথা বলতে চাইছেন?’
বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার পর কাতারে অবকাঠামো নির্মাণে অভিবাসী শ্রমিকদের অপব্যবহার করার অভিযোগ করেছে মানবাধিকার সংস্থা। সাড়ে ৬ হাজার অভিবাসী শ্রমিক নিহতের খবর দিয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান। যদিও এসব দাবি নাকচ করেছে দিয়েছে আয়োজকরা, তারা বলছে ‘স্বাভাবিক কারণ’ বা ‘হৃদরোগে’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। তবে বিশ্বকাপ চলাকালে ট্রেনিং সাইটে কাজ করার সময় এক ফিলিপিনো শ্রমিকের মৃত্যুতে শুরু হয়েছে তদন্ত। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।