Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বের সবথেকে দামি পকেটঘড়ি কি অভিশপ্ত?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:৫৭ পিএম

২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারের ‘দ্য গ্রেভস সুপার কমপ্লিকেশন’ নামে পরিচিত ১৯৩২ সালের পাতেক ফিলিপ ঘড়ি বিশ্বের সবথেকে দামি পকেটঘড়ি হিসেবে পরিচিত, যার নকশা করতে তিন বছর এবং তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে। অত্যাশ্চর্য এই পকেটঘড়িটির দু’দিকেই সময় দেখা যায় এবং এর ২৪ ঘন্টার সময় গণনা, একটি অ্যালার্ম, একটি স্টপওয়াচ এবং একটি চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার রয়েছে।

এটি বিশ্বের সবচেয়ে জটিল, বিস্তারিত এবং সুন্দর ঘড়ি হিসাবেও বিবেচিত। তবে, ১৯২৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর মালিকদের মৃত্যু এবং বিপর্যয়ে ঘটনার কারণে এই ঘড়িটিকে অভিশাপযুক্ত বা অশুভ বলা হয়ে থাকে। অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের সাথে সাথে ঘড়িটি ২০ শতকের বিখ্যাত ধনকুবের হেনরি গ্রেভস এবং ৪৮ বছর বয়সী কাতারি রাজপরিবারের শেখ সউদ বিন মোহাম্মদ বিন আলি আল-থানির জন্য জন্য ব্যাপক দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে।

পাতেক ফিলিপের এই পকেটঘড়িটি ১১ মার্চ, ১৮৬৮ সালে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন ধুনকুবের এবং ব্যাঙ্কার হেনরি গ্রেভস জুনিয়রের জন্য ১৯২৫ সালে ১৫ হাজার মার্কিন ডলারে (২০২২ সালের ডলারের মান অনুযায়ী বর্তমানে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫শ’ ডলার)। এটি উপলব্ধ করার পরপরই তিনি ঋণ থেকে শুরু করে অকাল মৃত্যুতে পতিত হন। একজন ঘড়ি সংগ্রাহক হওয়ার পাশাপাশি তিনি শিল্পানুরাগীও ছিলেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত ক্রয় ‘দ্য গ্রেভ কমপ্লিকেশন’কে তার উত্তরাধিকারীরা

১৯৬৮ সালে ইলিনয়ের রকফোর্ডের দ্য টাইম মিউজিয়ামের কাছে বিক্রি করে দেন। মিউজিয়ামটি ১৯৯৯ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর এটি নিলাম সংস্থা সোথেবির সংগ্রহে চলে যায়। এটি সেই বছরই ২ ডিসেম্বর বিশ্বের অন্যতম ধনী শেখ সউদ বিন মোহাম্মদ বিন আলী আল-থানি ১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারে কিনে নেন। কাতারি রাজপরিবারের শেখ সউদ বিন মোহাম্মদ বিন আলী আল-থানি তার ক্রমবর্ধমান শিল্প সংগ্রহের কারণে বিশাল ঋণের মধ্যে পড়েন। জেনেভায় তার অভিশপ্ত ঘড়িটি বিক্রি হওয়ার দুই দিন আগে আশ্চর্যজনকভাবে তার অকাল মৃত্যু ঘটে। তাকে তার লন্ডনের বাড়িতে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার ব্যাপক ঋণ শোধ করতে অন্যান্য সম্পদের সাথে দ্য গ্রেভ কমপ্লিকেশনকে বিক্রি করে দেয়া হয়, যেগুলির বিনিময়ে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার উপলব্ধ হয়।

শেখ সউদ বিন মোহাম্মদ বিন আলী আল-থানিকে বিশ্বের সবচেয়ে বিশিষ্ট শিল্প সংগ্রাহক হিসাবে বিবেচনা করা হতো। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি তার প্রচেষ্টা এবং বিনিয়োগের ফল ভোগ করে যেতে পারেননি। নইলে, পাতেক ফিলিপ হেনরি গ্রেভস সুপার কমপ্লিকেশন ২০১৪ সালে তার নিজের রেকর্ড ভেঙ্গে ২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলারে বিক্রি হওয়ার পর তিনি ১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন মিলিয়ন ডলার মুনাফা ভোগ করতে পারতেন। সূত্র: লাক্সারি লঞ্চেস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ