মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন সমর্থিত বিরোধী গোষ্ঠীর প্রধান নেতা মরিয়ম রাজাভি ইরানে সাম্প্রতিক দাঙ্গা সংগঠিত করার কথা স্বীকার করেছেন, তাসনিম বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার রাজাভির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে।
‘এই আন্দোলন (দাঙ্গা) বিদ্রোহী কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করে মুজাহেদিন-ই খালক অর্গানাইজেশন (এমকেও) দ্বারা সুসংগঠিত হয়েছিল,’ এমকেও-এর প্রধান মরিয়ম রাজাভিকে উদ্ধৃত করে তাসনিম বলেছে। ‘ইরানের জাতীয় প্রতিরোধ পরিষদকে (এমকেও দ্বারা প্রতিষ্ঠিত) বর্তমান সরকারের বিকল্প হিসেবে আমরা বিবেচনা করি,’ তিনি বলেন। রাজভির এই মন্তব্যটি কয়েক ঘন্টা পরে তার ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল।
এর আগে, ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) জানিয়েছে যে রাজাভি, যিনি নিজেকে ‘ইরানের জাতীয় প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি’ বলতেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ট্রানজিশন পিরিয়ডের জন্য নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে’ ঘোষণা করেছিলেন। রাজাভি এবং তার স্বামী, মাসুদ, ১৭ হাজার নিরীহ ইরানিদের মৃত্যুর জন্য দায়ী, সংবাদ সংস্থা বলেছে।
মাসুদ রাজাভি ইরানের পিপলস মুজাহেদিন অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮০-এর দশকে, এই সংগঠনটি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল এবং সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। পরে, দলটি ফ্রান্স এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়। ইরাকে সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলে সংগঠনটি ইরাকি ভূখণ্ড থেকে কাজ করে এবং ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়। সংগঠনটিকে শুধু ইরানেই নয়, পশ্চিমেও সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সংগঠনটিকে কালো তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়। গোষ্ঠীটি খোলাখুলিভাবে ইরানের বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্য ঘোষণা করে।
২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির শেষকৃত্যের পর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে বিক্ষোভের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে। অফিসিয়াল সংস্করণ অনুসারে, পুলিশ আমিনীকে হিজাব না পড়ার জন্য আটক করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল, যার ফলে তার মৃত্যু হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া অবশ্য প্রচার করে যে, আমিনীকে পুলিশ মারধর করেছে। ৭ অক্টোবর, ইরানের ফরেনসিক সংস্থা একটি অফিসিয়াল মেডিকেল রিপোর্ট প্রকাশ করে যে, আমিনীর মৃত্যু মারধরের পরিবর্তে অসুস্থতার কারণে হয়েছে। সূত্র: তাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।