Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যোগীরাজ্যে ভরাডুবি, হার রাজস্থান, ওড়িশাতেও! গুজরাট ছাড়া সব রাজ্যে মুখ পুড়ল বিজেপির

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ৫:৫৯ পিএম

হিন্দুত্ব ও দেশাত্ববোধের প্রকল্প। যার একনিষ্ঠ কারিগর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের সাবেক সদস্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই হল গত দেড় দশকে দেশে গেরুয়া ঝড়ের অন্যতম কারণ। সঙ্গে রয়েছে উন্নয়নমুখী আত্মনির্ভর ভারতের প্রচার। এত করেও কেবল গুজরাটেই নিরুঙ্কুশ জয় পাচ্ছে বিজেপি। পিছু ধাওয়া করলেও হিমাচলে কংগ্রেসই সংখ্যা গরীষ্ঠ দল হতে চলেছে। রাহুল গান্ধীর দলের জয় সেখানে নিশ্চিত হয়েছে। তবে ঘোড়া বেচাকেনা হলে কী হবে, ‘অপরেশন লোটাসে’র ঝামেলা হবে কিনা, তা এখনও বলা কঠিন। তবে পাঁচ রাজ্যে উপনির্বাচনে ফল ভাল হচ্ছে না মোদি-শাহদের। এমনকী খারপ ফল হল যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশেও।

উত্তরপ্রদেশের দু’টি বিধানসভা আসনের একটিতে এগিয়ে রয়েছে রাষ্ট্রীয় লোকদল, অন্যটিতে সমাজবাদী পার্টি। খাটাউলি বিধানসভায় উপরনির্বাচনে এগিয়ে আরএলডি প্রার্থী মদন ভাইয়া। যদিও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিচ্ছেন বিজেপির রাজকুমার সাইনি। অন্যদিকে রামপুর কেন্দ্রে এগিয়ে সমাজবাদী পার্টির মহম্মদ অসীম রাজা। এদিকে মইনপুরী লোকসভায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ২ লক্ষ ভোটে এগিয়ে অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। উল্লেখ্য, মুলায়ম সিং যাদবের মৃত্যুর কারণে এই আসনে ভোট হচ্ছে। এখনও অবধি ভোটের ফলাফলের যা গতিপ্রকৃতি তাতে করে শ্বশুরের সম্মান বাঁচাতে বদ্ধপরিকর বউমা।

এদিকে ওড়িশায় বিজেপিকে পিছনে ফেলে ১ আসনের উপনির্বাচনে এগিয়ে বিজু জনতা দল। ইতিমধ্যে পদমপুর বিধানসভার ৫৭.৬৭ শতাংশ ভোট নিজেদের দখলে নিয়েছে বিজেডি। বিজেপি পেয়েছে ৩৭.৭৩ শতাংশ ভোট। ছত্তিশগড়ের একটি আসনে বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস। এখনও পর্যন্ত ভানুপ্রতাপপুরের আসনে ৪৪.৩ শতাংশ ভোট কংগ্রেসের দখলে। জয় নিশ্চিত। রাজস্থানে সর্দারশহর বিধানসভা আসনে ৩০ হাজার ভোটে এগিযে কংগ্রেস। বিজেপির ভরাডুবি নিশ্চিত।

যদিও বিষয়টা খানিক বদলাচ্ছে বিহারে এসে। গেরুয়া প্রার্থী কেদার প্রসাদ গুপ্ত আড়াই হাজার ভোটে এগিয়ে। সম্ভবত তিনিই জিতছেন এই আসনটিতে। তথাপি বলাই যায়, চলতি নির্বাচনী আবহাওয়ায় গুজরাট ছাড়া অন্য কোথাও বিজেপি দাপট দেখা গেল না। যদিও হিন্দুত্ববাদ, দেশাত্ববোধ এবং তার কারিগর মোদিকে কম প্রচার করেনি গেরুয়া শিবির। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ