Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে জার্মানিতে আটক ২৫

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জার্মানির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, অতি-ডানপন্থী এবং সাবেক সামরিক কর্মকর্তাদের একটি দল দেশটির পার্লামেন্ট ভবন, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভবনে হামলা চালানোর এবং ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। অভিযোগ উঠেছে, হেনরিখ ১৩ নামে একজন রাজপুত্র ওই অভ্যুত্থান পরিকল্পনার মূল হোতা। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, ১১টি রাজ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজন অভিযুক্ত পরিকল্পনাকারীর মধ্যে হেনরিখ একজন। তাদের দলে নারী ও পুরুষ মিলিয়ে অন্তত ৫০ জন রয়েছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছেন আটকরা। ফেডারেল প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই দলের সদস্যদের এখনো কোনো নাম নেই। জার্মানির বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, দেশটি ছাড়াও অস্ট্রিয়া এবং ইতালিতে দুজন আটক হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।জার্মানির আইনমন্ত্রী মার্কো বাখমান বলেছেন, সন্ত্রাসবিরোধী বদ ধরনের অভিযান চলেছে এবং সরকারি প্রশাসনে সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ফেডারেল প্রসিকিউটর বলেছেন, সহিংস অভ্যুত্থান ঘটানোর ব্যাপারে গত বছরের নভেম্বর থেকে পরিকল্পনা করছিল দলটি। জার্মানির নির্বাহী কৌঁসুলি জানিয়েছেন, পুরো দেশের ১১টি রাজ্যে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানে মূল অভিযুক্ত হেনরিখ এইটকেও আটক করা হয়েছে। অভ্যুত্থান পরিকল্পনাকারীরা চরমপন্থী রেসবার্গার নামের একটি দলের সদস্য। উগ্র ও বর্ণবাদী কার্যক্রমের জন্য তাদের ওপর দীর্ঘ সময় ধরে নজর রাখছিল আইন-শৃংখলারক্ষাকারী বাহিনী। জার্মানিতে অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনার সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো। আধুনিক জার্মানির সরকারকে হটিয়ে ১৮৭১ সালের আলোকে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। অভ্যুত্থান পরিকল্পনা ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জার্মানির আইন ও বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান টুইটে লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী বড় ধরনের অভিযান চলছে। জার্মানির সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’ জার্মানির নির্বাহী কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা চলছিল। এরসঙ্গে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তারা এলিট ফোর্সের সাবেক সৈন্যদেরও তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। অভ্যুত্থান শেষে কিভাবে জার্মানির শাসন কার্যক্রম চলবে এ নিয়েও নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছিল তারা। এছাড়া তারা বুঝতে পেরেছিল, শুধুমাত্র উগ্র ও সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতা দখল সম্ভব। এ কারণে সেভাবেই চলছিল তাদের কার্যক্রম। জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জেডিএফ জানিয়েছে, সংসদের নিম্নকক্ষের একজন সাবেক সদস্যও এর সঙ্গে জড়িত আছেন। ক্ষমতা দখল করতে পারলে তিনি আইন ও বিচারমন্ত্রী হবেন সেটিও ঠিক করে ফেলেছিল উগ্রপন্থি দলটি। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ