নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেও নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পালনা বিশ্বের অন্যতম সেরা দল ভারত। ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে টাইগাররা আবারও প্রমাণ করলো..., নিজেদের মাঠে বাংলাদেশই সেরা।
বুধবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মিরাজ-রিয়াদের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে আর সাকিব-এবাদতদের অসারণ বোলিংয়ে ভারতকে ৫ রানে রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জয় টাইগারদের।
টাইগারদের দেয়া ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৬৬ রানে থেমে যায় ভারত। এদিন টস ভাগ্যে হারের…সঙ্গে যেন কপালও পোড়ে ভারতের! তাইতো ম্যাচের শুরুতেই ফিল্ডিংয়ে আঙুলে মারাত্মক আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ছুঁটে যেতে হয় ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে।
দলের নেতা হারিয়েও মোনবল হারায়নি ভারতের বোলাররা। বল হাতে ৬৯ রানে বাংলাদেশে ৬ উইকেট তুলে নেয় তারা। উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন এসে অধিনায়ক লিটনে সঙ্গে ইনিংস শুরু করেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের বলে স্লিপে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি।
তবে জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। এলবিডব্লিউ হয়ে ১১ রানে। ক্যাপ্টেন লিটন আউট হন ২৩ বলে ৭ করে। আর শান্ত ৩৫ বলে ২১ রানে বিদায় নেন। এরপর সাকিব আল হাসানও বিদায় নেন ২০ বলে ৮ রানে। ব্যর্থ হন মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেনও। ম্যাচের তখন ১৯ ওভার হয়েছে মোটে, বাংলাদেশের উইকেট নেই ৬টি!
মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজের লড়াই শুরু সেখান থেকে। রেকর্ড গড়া জুটি গড়েন তারা। ৬৩ বলে আসে জুটির ফিফটি। মিরাজ নিজের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি স্পর্শ করেন ৫৫ বলে। মাহমুদউল্লাহর পঞ্চাশ আসে ৭৪ বলে। ক্রমে দুজনের ব্যাটের ধার আর রানের গতি বাড়তে থাকে। জুটি পেরিয়ে যান শতরান। তখন বাইরে আর কোনো স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ছিল না, দলকে টানতে হতো এই দুজনকেই।
রিয়াদের ৭৭ রানে বিদায়ের পর আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয় নাসুম আহমেদের ব্যাটে। উইকেটে গিয়েই টানা দুই বলে মারেন দৃষ্টিনন্দন দুটি বাউন্ডারি। মিরাজ তো শেষ দিকে হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। শেষ ওভারে শার্দুলকে দুটি ছক্কা মেরে তিনি এগিয়ে যান শতরানের কাছে। শেষ বলে শতরান ছুঁয়ে ভেসে যান আনন্দে।
বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায় ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে পেসার এবাদতের বলে উড়ে যায় বিরাট কোহলির উইকেট। পরের ওভারেই আর এক ওপেনার শিখর ধাওয়া মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন।
২.৫ ওভারে ১৩ রানে সেরা দুই ওপেনারকে হারিয়ে কাঁপছে থাকে ভারত। বিরাট ৫ ও ধাওয়ান ৮ রান করে বিদায় নেন। দলীয় ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে আশার আলো দেখান শ্রেয়াস আইয়ার ও আকসার প্যাটেল।
ভারতের পক্ষে তারাই সর্বোচ্চ রান করেন। শ্রেয়াস ৮২ ও প্যাটেল ৫৬ রান করে বিদায় নেন। ২০৭ রানে ৭ উইকেট হারালে দলকে বাঁচাতে হাতের চোট নিয়ে ক্রিজে আছেন। হাতে চোট নিয়ে ২৮ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলের হার এড়াতে পারেনি রোহিত শর্মা।
বল হাতে এবাদত তিনটি এছাড়া সাকিব ও মিরাজ নেন দুটি করে উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।