দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে ভারত ও জার্মানির মধ্যে ‘কম্প্রেহেনসিভ মাইগ্রেশন অ্যান্ড মবিলিটি পার্টনারশিপ’ বা ‘সমন্বিত অভিবাসন ও গতিশীল অংশদারিত্ব’ চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জার্মান অংশীদার অ্যানালেনা বেয়ারবক এই চুক্তি সই করেন। চুক্তির আওতায় মেধা ও দক্ষতা শেয়ারের মাধ্যমে উভয় দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গতিশীলতা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
এএনআই জানিয়েছে, চুক্তির মধ্যে রয়েছে দিল্লির অ্যাকাডেমিক এভালুয়েইশন সেন্টার, শিক্ষার্থীদের ১৮ মাসের বাড়তি আবাসন সুযোগ, বছরে ৩ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভিসা অনুমোদন ও পুনরায় ভর্তি প্রক্রিয়া। ‘মাইগ্রেইশন অ্যান্ড মবিলিটি’ ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।
ভারতে জার্মান রাষ্ট্রদূত ডাক্তার ফিলিপ্প আকারম্যান এবং উভয় দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চুক্তি সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন। চুক্তির আওতায় উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতেও উল্লেখ করেছে।
সমন্বিত অভিবাসন ও গতিশীল অংশীদারিত্বের ওপর ভারত-জার্মানি চুক্তিটি সম্ভাব্য শ্রম বাজারের গন্তব্য তৈরির একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের সামগ্রিক প্রচেষ্টারও অংশ। চুক্তিটি জার্মানির সঙ্গে ভারতের দ্রুত প্রসারিত বহুমুখী কৌশলগত সম্পর্ক প্রদর্শন করে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জার্মান স্কিলড ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ২০২০’ এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোর কর্মীদের জন্য সুযোগ বাড়িয়েছে। ২০২৩ সালে গোড়ার দিকে গৃহীত একটি নতুন আইনের মাধ্যমে জার্মান সরকার বিদেশ থেকে যোগ্য কর্মীদের অভিবাসন সহজ করার প্রস্তাব করেছে।