করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নেপালে চীনের দেওয়া ৪০ লাখ সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন আর কখনও ব্যবহার করা যাবে না। নেপালের স্বাস্থ ও জনসংখ্যা বিষয়ক মন্ত্রণলায়ের কর্মকর্তারা ন্যাশনাল ইমুনাইজেশন অ্যাডভাইজরি কমিটির সভায় চারবার ওই টিকা ব্যবহার প্রস্তাব আনলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালে বুস্টার ডোজ গ্রহণ নিয়ে হতাশার কারণে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন ব্যবহার হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অনুদান সহায়তার নামে গত মার্চ মাসে সিনোভ্যাকের ৪০ লাখ নেপালকে দিয়েছিল চীন। ওই টিকা আনতে বিশেষ বিমানও পাঠিয়েছিল নেপাল সরকার।
অন্যদিকে টিকাগুলোর সংরক্ষণ মেয়াদ দুই বছর হওয়ায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ যে ভ্যাকসিনের মেয়াদ আরও কম সময় রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা ওই কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিয়েছে, কয়েক মাসে বাজারজাত করা ভ্যাকসিন দীর্ঘ সময় ধরে মজুদ করা ঠিক হবে না। কারণ
করোনাভাইরাসের রূপ বদল বা মিউটেশনের কারণে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো তাদের আপডেট ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে।
নেপালের পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ডা. বিবেক কুমার লাল বলেন, “আমরা স্থানীয় সরকারকে অনুরোধ করেছি, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যায় কিনা তা দেখতে। কিন্তু বেশিরভাগ স্থানীয় ইউনিটের প্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের কাছে এমন কেউ নেই যারা ভ্যাকসিনের কোনো ডোজই নেয়নি।”
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবির বরাতে কাঠমান্ডু পোস্ট বলছে, সিনোভ্যাক ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসাবে ব্যবহারের জন্য বিশ্বাসযোগ্য সংস্থাগুলোর কাছ থেকেও সুপারিশ পায়নি।