Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্ণাটকের মসজিদে হিন্দুত্ববাদীদের প্রবেশের চেষ্টা করেছে, ধ্বংসের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

‘জয় শ্রী রাম’ সেøাগানের মধ্যে একজন তরুণ হিন্দু ভক্ত একটি মুসলিম বাড়ির ওপরে উঠে সেখানে থাকা সবুজ পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা টানিয়ে দিয়েছে। গতকাল সোমবার চলমান সংকীর্তন যাত্রায় অংশগ্রহণকারী হিন্দুত্ববাদী চরমপন্থীদের সাথে অনেক হনুমান ভক্ত (যারা মালাধারী নামেও পরিচিত) তাদের সাথে জোর করে জামিয়া মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন ২ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী বিপর্যয় এড়াতে সক্ষম হয়।
মান্ডা জেলার শ্রীরঙ্গপাটনায় দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন হিন্দু জাগরণ বেদিকে সংকীর্তন যাত্রার আয়োজন করে। শ্রীরঙ্গপাটনার নিমিশাম্ভ মন্দিরের কাছে হনুমান মন্দির থেকে যাত্রা শুরু হয়। মাইসুরু, রামনাগড়া, মাদ্দুর, কে আর পেট, পান্ডবপুরা এবং অন্যান্য স্থান থেকে মালাধারীরা হনুমান মন্দিরের প্রবেশদ্বারের কাছে জড়ো হন, হনুমান মল সংগ্রহ করে এবং ঐতিহ্যের অংশ হিসাবে কাবেরী নদীতে ফেলে দেয়।
মিছিলটি জামিয়া মসজিদে পৌঁছানোর সাথে সাথে গেরুয়া পতাকাধারী অসংখ্য ভক্ত পুলিশ ব্যারিকেড অতিক্রমের চেষ্টা করে।
গেরুয়া-পরিহিত পুরুষদের ভিডিওতে নাচতে এবং সেøাগান দিতে দেখা যায়, ‘আমরা ভগবান হনুমানের পায়ের কাছে শপথ করছি সেখানে ‘অযোধ্যায় রাম মন্দির, শ্রীরঙ্গপত্তনায় হনুমান মন্দির’-এর মতো মন্দির তৈরি করার’-টুইটারে প্রকাশিত হয়েছে।
এদের মধ্যে একজন যুবক হিন্দু ভক্ত একটি মুসলিম পরিবারের মালিকানাধীন বাড়ির উপরে উঠে ‘জয় শ্রী রাম’ সেøাগানের মধ্যে সেখানে থাকা সবুজ পতাকা নামিয়ে গেরুয়া পতাকা টানিয়ে দেয়।
গত রোববার, মান্ডা জেলার পুলিশ সুপার ইয়াতীশ এন সাংবাদিকদের বলেছেন, যে কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিঘœ এড়াতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসপি বলেন, ‘ইস্যুটির সংবেদনশীলতার কারণে, শ্রীরঙ্গপাটনা শহরে কঠোর পুলিশ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা সংবেদনশীল এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে’।
প্রতিনিয়ত মসজিদ ভাঙার দাবি : এ বছরের জানুয়ারিতে চিক্কামগালুরুর কালী মঠের প্রধান ঋষি কুমার মসজিদটি ভেঙে ফেলা এবং একটি মন্দির প্রতিস্থাপনের দাবি করেছিলেন। তার বিতর্কিত বক্তব্যের ফলে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
২০২২ সালের জুনে ডানপন্থী গোষ্ঠীর সদস্যরা জামিয়া মসজিদের দিকে মিছিল করার জন্য কিরাঙ্গুর জংশনে জড়ো হয় এবং দাবি করে যে, এটি একটি হনুমান মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে পুজো করারও দাবি জানান দলের সদস্যরা।
গত মে মাসে হিন্দুত্ববাদীরা মান্ডিয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দাখিল করে যাতে হিন্দুদের মসজিদে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়। হিন্দু জাগরণ বেদিক বারবার বিদ্যমান জামিয়া মসজিদের জায়গায় মুদালাবগিলু হনুমান মন্দির নির্মাণের অনুমতি চেয়ে আসছে।
জামিয়া মসজিদটি ১৭৮২ সালে মাইসুর নেতা টিপু সুলতান নির্মাণ করেছিলেন। এটি ভারতের প্রতœতাত্তি¡ক জরিপ (এএসআই)-এর সংরক্ষণ করা একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। সূত্র : এএনআই।



 

Show all comments
  • salman ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:২৮ এএম says : 0
    Toder Jonno e Obodharito JAHANNAM
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ