Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে যারা

ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলন আজ

রাহাদ উদ্দিন | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলন আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল সাড়ে ১০ টায় এই সম্মেলন শুরু হবে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে অব্যহতি দিয়ে নতুন নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। তবে সংগঠনটির শীর্ষ এই দুই পদে কারা আসবে এবং তাদের বয়স কত হবে তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি।

এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সহযোগী সংগঠনগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ মে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ এবং দুই সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ ও যুব মহিলা লীগকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রথমে ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে তা আজ ৬ ডিসেম্বর করা হয়।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকার রাস্তা বন্ধ রাখার পাশাপাশি রোড ডাইভারশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সম্মেলন উপলক্ষে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল সোমবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক-রমনা বিভাগ থেকে জানানো হয়, ছাত্রলীগের সম্মেলন উপলক্ষে যানজট পরিহারের জন্য রাজধানীর কাটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাবি মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাবি ভাস্কর্য ক্রসিং, উপাচার্য ভবন ক্রসিং এলাকায় সম্মেলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক ডাইভারশন চলবে। এক্ষেত্রে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশপাশের এলাকায় চলাচলে নগরবাসীকে ভিন্ন রাস্তা ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপি।
গত বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বয়সের ব্যাপারটি অনানুষ্ঠানিকভাবে স্পষ্ট করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি অন্য নেতাদের জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বয়সের ব্যাপারে তার আলোচনা হয়েছে। এবারও এই বয়সসীমা হবে ২৯ বছর। অন্যদিকে, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তিনিও বয়সসীমা ও ছাত্রত্বের ব্যাপারে খোঁজ নেন। এসময় তিনি গত সম্মেলনে ২৯ হওয়া বয়সসীমার প্রতি সমর্থন জানান। তবে শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাইয়ে অনুর্ধ্ব ২৯ বছর চূড়ান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনটির ১নং ইউনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৯ বছরকে প্রাধান্য দেয়া হলেও সভাপতির পদে অপেক্ষাকৃত সিনিয়র একজনকে রাখতে পারে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা
বয়সসীমার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায় ও বিভিন্ন সূত্র মতে এবার ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্বে যারা আসতে পারেন তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে রয়েছে সংগঠনটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন।
বরিশাল অঞ্চল থেকে রয়েছেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, উপ-গণশিক্ষা বিয়ষক উপ সম্পাদক সোলাইমান ইসলাম মুন্না। মাদারীপুর থেকে রয়েছেন ঢাবির হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহিদুল হক শিশির। ময়মনসিংহ থেকে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপ সম্পাদক রাশিদ শাহরিয়ার উদয়। খুলনা থেকে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাধন।
এর বাইরে কেন্দ্র ও ঢাবি শাখায় যে কোনো একজন নারী নেতৃত্ব আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাদের মাঝে রয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি তিলত্তমা শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক উপ-সম্পাদক রনক জাহান রাইন।
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সবশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয় ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা। এরপর থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন জয়-লেখক।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছাত্রলীগ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ