আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের নামে বিএনপি যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃংখলা করে এবং জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে তাহলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। গতকাল সোমবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলের অধিকার আছে, তাই আমরা ছাড় দিয়েছি। এত দিন ছাড় দিচ্ছি। কিন্তু তারা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, বিশৃংখলা করে, জনগণের জানমালের প্রতি হুমকি সৃষ্টি করে সে অবস্থায় আমরা ছেড়ে দেব না। সমুচিত জবাব দেব।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক। সমাবেশ করার অধিকার আছে। তারা কর্মসূচি ঘোষণা করুক। কিন্তু মানুষ আতঙ্কে আছে কেন? এই আতঙ্কে মানুষ থাকবে কেন? মানুষের আতঙ্ক দূর করতে হবে। গণতন্ত্র বিকাশে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের ভূমিকা জরুরি। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ। সেই নির্বাচন আমরা জানি কীভাবে হয়েছে। ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার, ১৫ ফেব্রুয়ারির সে প্রহসনের নির্বাচন। এগুলো এদেশের ইতিহাসে আছে। আমরা ভুলে যাইনি। এখনও সাম্প্রদায়িক অশুভ ও জঙ্গিবাদী শক্তি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সক্রিয়। এদের পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিক বিশ্বাসযোগ্য ঠিকানা। গণতন্ত্র বিকাশের অন্তরায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আমলে আমরা ৫ বছরে ৫০ দিন ঘরে থাকতে পারিনি। আমাদের নেতাকর্মীরা কেউ ঘরে থাকতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বর তারা সমাবেশ করবে, যেদিন বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা বাস্তবায়ন শুরু হয়। বিএনপি তাদের আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষণা এবং ঢাকা দখলের জন্য এই দিনটি কেন বেছে নিল আমরা জানি না।
হোসেন সোহরাওয়ার্দী গণতন্ত্রের মানসপুত্র উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রই তার জীবনের মূল ভিত্তি। তিনি বলেছিলেন শাসনতন্ত্রের প্রশ্নে জনগণের রায়ই শেষ কথা। আজ জনগণই হচ্ছে আমাদের ক্ষমতার উৎস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিকাশের প্রক্রিয়া পদে পদে বাধার মুখে রয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেন। সারা দেশ ঘুরে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধের মুল্যবোধ, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের পক্ষে তিনি ক্যাম্পিং করেন। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের শৃংখল মুক্তি ঘটিয়েছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা অসীম কুমার উকিল, ড. সেলিম মাহমুদ, জাহানারা বেগম, শামসুন নাহার চাপা প্রমূখ। ##