Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষ তাসমানিয়ান বাঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিগত ৮৫ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা বারবার হতাশা প্রকাশ করছিলেন। কেননা, সর্বশেষ হিসেবে চিহ্নিত তাসমানিয়ান বাঘের দেহাবশেষ তাদের কাছে এলেও ধরে রাখতে পারেননি। অথচ একটি অস্ট্রেলিয়ান জাদুঘরের আলমারিতেই ছিল অতি মূল্যবান দেহাবশেষটি। থাইলাসিন নামে পরিচিতি বাঘটি ১৯৩৬ সালে হোবার্ট চিড়িয়াখানায় মারা যায় এবং তার দেহ একটি স্থানীয় জাদুঘরে দেয়া হয়। এরপর বাঘটির কঙ্কাল ও চামড়ার কী হয়েছিল; এতদিন তা ছিল একটি সমাধান না হওয়া রহস্য। ধারণা করা হয়েছিল, ভুলবশত ফেলে দেয়া হয়েছিল।
এখন নতুন আবিষ্কার বলছে, দেহাবশেষটি সব সময় জাদুঘরে ভালোভাবেই সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু সঠিকভাবে ক্যাটালগ করা হয়নি বলে কেউ হদিস জানতে পারেনি। ২০০০ সালে তাসমানিয়ান বাঘের বিলুপ্তির ওপর বই প্রকাশ করেছিলেন রবার্ট প্যাডেল। তিনি জানান, অনেক বছর ধরে জাদুঘরের কিউরেটর ও গবেষকরা দেহাবশেষটির সন্ধান করেও সফল হননি। কারণ ১৯৩৬ সাল থেকে থাইলাসিনের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
কিন্তু সম্প্রতি রবার্ট ও যাদুঘরের একজন কিউরেটর একটি অপ্রকাশিত ট্যাক্সিডার্মিস্টের প্রতিবেদন খুঁজে পান। যা তাদের যাদুঘরের সংগ্রহ পর্যালোচনার জন্য প্ররোচিত করে। এরপরই খুঁজতে খুঁজতে শিক্ষা বিভাগের একটি আলমারিতে হারিয়ে যাওয়া বাঘের দেহাবশেষ খুঁজে পান।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে কিউরেটর ক্যাথরিন মেডলক বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ায় একটি ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী অংশ হিসেবে তাসমানিয়ান বাঘটির দেহাবশেষটি নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কর্মীরা জানতেন না যে এটি শেষ থাইলাসিন। তারা ভেবেছিল এই প্রজাতির বাঘ তখনো পাওয়া যায়। তাই জাদুঘরে ফেরত আনা হলেও হেলাফেলা করে রাখা হয়েছিল। তাসমানিয়ান বিরল বাঘটির চামড়া ও কঙ্কাল এখন হোবার্টের জাদুঘরে প্রদর্শন করা হচ্ছে। এক সময় অস্ট্রেলিয়া জুড়ে বিচরণ করত এ ধরনের বাঘ। ধারণা করা হয়, মানুষ ও বিশেষ প্রজাতির কুকুর ডিঙ্গোর প্রভাবে তাসমানিয়ান বাঘ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ