বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের যেভাবে খেলা উচিত, কাতার বিশ্বকাপে ফ্রান্স ফুটবলটা খেলছে সেভাবেই।বেনজেমা,পগবা,কন্তে,এনকুকুর মত তারকারা ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ শুরুর আগে দল থেকে ছিটকে পরেছিলেন। সাথে এত তারকা ফুটবলারকে হারানোর পরেও ফ্রান্স খুব একটা ঘাম ঝরানো ছাড়াই উঠে গেছে বিশ্বকাপের শেষ আটে। আজ শেষ ষোলোর ম্যাচে তারা পোল্যান্ডকে হারিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। এই ম্যাচে গোল করে ওলিভার জিরু ফ্রান্সের ইতিহাসে সবথেকে বেশি গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন।
ফ্রান্সের জার্সি গায়ে এ তারকা স্ট্রাইকারের বর্তমান গোল সংখ্যা ৫২।জিরুর মাইলফলক অর্জনের পর জোড়া গোল করে ফ্রান্সের বড় জয় নিশ্চিত করেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমাবাপে।শেষদিকে পেনাল্টি থেকে একটি গোল করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান পোলিশ স্ট্রাইকার লেভানডফস্কি।
কাতারের আল থুমামা স্টেডিয়ামে এদিন পোল্যান্ড শুরুতে লড়েছিল সমানতালে। ফ্রান্সের গতিময় ফুটবলের সামনে চুপসে না গিয়ে তারা রক্ষণ সামলানোর ফাকে সুযোগ পেলেই যায় পাল্টা আক্রমণে।প্রথামার্ধে তারা ৭ টি শট নেয়, তার মধ্যে ফ্রান্সের গোলমুখে রাখতে পেরেছে কেবলমাত্র একটি শট।ম্যাচের ৪৪ তম মিনিটে মাইলফলক গোলটি করেন।
এমবাপের থ্রু পাস ডি-বক্সে পেয়ে বাঁ পায়ের শটে পোলিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন এই এসি মিলান স্ট্রাইকারএ। এই গোলের মাধ্যমে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় থিয়েরি অঁরিকে(৫১) ছাড়িয়ে এককভাবে চূড়ায় বসলেন জিরু।
প্রথম গোলে এসিস্টের এমবাপে দ্বিতীয়ার্ধে ছিলেন আরো বেশি উজ্জ্বল।৫৬ তম মিনিটে তার মাপা শর্ট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান পোলিশ ডিফেন্ডার।
তবে ৭৪ তম মিনিটে তাকে আর আটকানো যায়নি।ডান দিক থেকে দেম্বেলের পাস বক্সের সামনে পান তিনি। বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডারদের বাধা এড়িয়ে তার ডান পায়ে নেওয়া শট খুঁজে নেয় জাল।৯১ তম মিনিটে এমনবাপে ফের গোল করলে বড় জয় নিশ্চিত হয় দিদিয়ে দেশামের দল।
শেষ মুহুর্তে ফরাসি ডিফেন্ডার উপেমেকানোর ডি বক্সে হ্যান্ডবল করলে পেনাল্টির বাশি বাজান রেফারি।স্পটকিক থেকে প্রথমবার লেভানডফস্কি প্রথমবার লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন। তবে গোল রক্ষক নিয়ম না বানায় ফের পেনাল্টি নেওয়ার সুযোগ দেন রেফারি। তবে এবার আর ভুল করেননি লেভা।৩-১ স্কোরলাইনে শেষ হয় ম্যাচ।
সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী শনিবার শেষ আটে ইংল্যান্ড অথবা সেনেগালের মুখোমুখি হবে এমাবাপেরা।