অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়রা একটু হতাশ হতেই পারে। পুরো প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনাকে তারা গোল মুখে অন টার্গেট শট নিতে দিয়েছেন কেবলমাত্র একটি।তাও মেসির বৌদলতে। সকারুদের হতাশ করে সেই একমাত্র শটেই দলকে লিড এনে দেন এই আর্জেন্টাইন মাহাতারকা।অস্ট্রেলিয়ান রক্ষণ হয়তো এই বলে নিজেদের সান্তনা দিতে পারেন যে ফুটবলের একজন কিংবদন্তির কাছেই তারা পরাস্ত হয়েছেন।
প্রথামর্ধের তখন ৩৫ মিনিট চলছে। এ সময় পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া কিংবা আর্জেন্টিনা ম্যাভে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই করতে পারেননি।গোল করা তো দূরের কথা, ভালো কোন সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেননি দুই দল। বিবিসির ধারাভাষ্যকার ত এক পর্যায়ে বলেই বসলেন নিরপেক্ষ ফুটবল দর্শকদের জন্য ম্যাচটা বেশ বিরক্তিকর হতে চলেছে। ম্যাচের এমন ম্যাড়ম্যাড়ে অবস্থায় হঠাৎ প্রাণসঞ্চার করলেন লিওনেল মেসি।বক্সের বাইরের থেকে পাস বাড়িয়েছিলেন গোমেজ। সেটি বক্সে থাকা ডিফেন্ডার ওটোমান্ডি পায়ের আলতো ছোঁয়ায় বাড়িয়ে দেন মেসির দিকে।মেসির সামনে তখন নিশ্চিদ্র দেয়াল তৈরি করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডাররা। তবে বা পায়ের নিখুঁত কারুকাজে রক্ষণ দেয়াল ভেঙে এই জাদুকরের নেওয়া শট ঠিকই খুজে নেয় জাল। এই গোলের মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে সব থেকে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড নিজের নামে করলেন এই ৩৫ বছর বয়সি আর্জেন্টাইন তারকা। বিশ্বকাপের নকআউট মঞ্চে এটি মেসির প্রথম গোল।
মেসির এই দুর্দান্ত গোলে আর্জেন্টিনা শেষ ষোলোর এ লড়াইয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে।