পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে আইনগত কোনো সুযোগ নেই। তার ভাইয়ের করা আবেদনে আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো মতামতে এমনটাই বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার যে আবেদন করেছেন, তা আইনগত কি না তা জানার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে আইনমন্ত্রী একটা মতামত দিয়েছেন, সেটা আমরা পর্যালোচনা করছি। যদি আমরা প্রয়োজন মনে করি আরও ঊর্ধ্বতন জায়গায় পাঠিয়ে তাদের পরামর্শ নেব। এখন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছি, এটা নিয়ে আমাদের আরও কথা বলতে হবে। তিনি বলেন, আইনমন্ত্রী যেভাবে লিখেছেন, সেখানে বলা হয়েছে, আইনগত কোনো সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের অবস্থান আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। আমরা এখন বসে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
মানবিক দিক বিবেচনা করা হবে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করেই ওই ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন দÐপ্রাপ্ত আসামি, তার দÐ কার্যকর ছিল। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছিল। তারপরও তার ছোট ভাই আবেদন করাতে তাকে আরও অধিকতর সুযোগ দেয়ার জন্য মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী দÐাদেশ স্থগিত করে বাসায় রেখে চিকিৎসাসেবা নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভিতরে যেকোনো মেডিক্যালে যেকোনো চিকিৎসকের চিকিৎসা খালেদা জিয়া নিতে পারবেন। এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এখন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার আবার আবেদন করেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যাবেন। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছ থেকে মতামত আসছে যে, আইনে এর কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে সোমবার ২৭ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তখন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার ভাইয়ের করা আবেদনে আইনি মতামত দিয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনারা জানেন, এর আগেও এ বিষয়ে যতবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এই ফাইলটি গেছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এই ফাইলটি যাবে, আমার যে মতামত আমি কিন্তু এখন আপনাদের কাছে বলতে পারব না। কারণ বিষয়টি গোপন রাখতে আমি বাধ্য। আইনমন্ত্রী আরও বলেন, আমি মতামত দিয়ে দিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালেয় যাবে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও জানিয়ে দিয়েছি ফাইলটি যাবে। আমার মনে হয় এ ফাইলটি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যাবে, তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।