পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : ঢাকায় এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক দূত এবং ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রুশনারা আলী। সরকারি সফরে গতকাল রবিবার তিনি ঢাকায় পৌঁছেছেন। রুশনারা বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্ব আরও জোরালোভাবে তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে। সেলক্ষ্যে একাধিক বৈঠক করবেন তিনি।
ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাণিজ্য দূত হিসেবে রুশনারার এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। সফরকালীন সময় তিনি বাংলাদেশে ব্রিটিশ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সদস্য, শিল্প ও বাণিজ্য নেতা, রাজনৈতিক নেতা এবং সরকারের উচ্চপদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
যুক্তরাজ্য সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী যুক্তরাজ্য। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গুরুত্ব বোঝাতেই রুশনারা আলীর এই ঢাকা সফর।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালিসন ব্লেক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদারের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের একটি নিদর্শন হলো রুশনারা আলীর বাংলাদেশ সফর। দুই দেশের মধ্যে উন্নয়নের বিষয়ে এই সময়োচিত সফরে আলোচনা হবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমর্থন দেয়া এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে এই সফর ভূমিকা রাখবে।
এ বিষয়ে রুশনারা আলী বলেন, বাণিজ্য দূত হিসেবে এটি আমার প্রথম বাংলাদেশ সফর। দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধন ছাড়াও ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য জন্য বাংলাদেশের বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আরো গভীর করতে আমরা আগ্রহী। তিনি বলেন, এই সফরে আমি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে পারস্পরিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করব। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য উন্নয়নে যেন ব্রিটেন বাংলাদেশের শক্ত অংশীদার হতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা করব আমি।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ক তৈরিতে ২০১২ সালে বাণিজ্যদূত কর্মসূচি শুরু হয়। এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হয়, যেখানে যুক্তরাজ্য প্রধান বাজার খুঁজে পায়। এই কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বেতনভুক্ত নন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৪ জন পার্লামেন্ট সদস্য ৫০টি বিভিন্ন মার্কেটে (দেশে) কাজ করছেন। প্রত্যেক বাণিজ্যদূত তাঁদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং সংশ্লিষ্ট সেক্টর ও দেশে তাঁদের জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিযুক্ত হন। এটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মার্কেট ও সেক্টরে বাণিজ্য সম্প্রসারণে ওই দেশের সরকারের নতুন (হোল-অব-গভর্নমেন্ট) পদ্ধতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।