Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করছে : পরিবেশমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:২৫ পিএম

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শুধু বৈদেশিক সহায়তায় নয়, বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেও জলবায়ু ঝুঁকি হ্রাসে কাজ করছে।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে ২০০৯ সালে গঠিত বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা) বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, এই তহবিলের টাকায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর, সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রায় ৮৫০ টির বেশি প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আরও জোরালোভাবে কাজ করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।

শাহাব উদ্দিন আজ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামে একটি তার্কিক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কপ-২৭ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশসমূহের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে কপ-২৭ সম্মেলনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। এবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশের মত জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্তদেশসমূহকে উন্নত দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

তিনি বলেন, এজন্য প্রতিবছর একশ’ বিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড গঠনের সিদ্ধান্ত হলেও অর্থায়নের উৎস নির্ধারণ করা হয়নি যা অতিদ্রুত করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা (এনএপি) বাস্তবায়ন করতে ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। পর্যাপ্ত বিদেশি সহায়তা পেলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের জন্য বাংলাদেশের ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন বা এনডিসি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ছায়া সংসদে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকোনোলজি এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করে। বিতর্কে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকোনোলজি দল জয়লাভ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ