মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের রাজধানী উরুমকির আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ উইঘুর নিহতদের ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন স্বজনরা। নিহতদের স্বজনরা বলছেন, উরুমকির পাড়া কমিটির সদস্যরা যদি ভবনটির মূল ফটক খুলে দিতেন তাহলে তাদের আত্মীয়রা বেঁচে থাকতো।
রেডিও ফ্রি এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাতকারে ওই অগ্নিকাণ্ডে নিহত এক ব্যক্তির ভাই মুহাম্মেদ মেমেটেলি বলেন, আমরা মানুষের কাছ থেকে শুনেছি আগুন লাগার পর পাড়া কমিটির সদস্যরা ভবনটির অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে ঢুকে এবং কিছু লোককে বাইরে নিয়ে যায়। পাড়া কমিটির প্রধান আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখাও করেছেন এবং তাদেরকে অপেক্ষা করা উচিত বলেছিলেন। কারণ তিনি জানিয়েছিলেন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়েছে এবং তারা এসেই আটকাপড়াদের উদ্ধার করবেন। পাড়া কমিটির সদস্যরা যদি ভবনের ফটক খুলে দিত তাহলে আমার পরিবারও বাইরে বের হতে পারতো এবং তারাও বেঁচে থাকতো। শুধু আমার পরিবারের সদস্যরাই নয়, ভবনটির আরও অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
উরুমকির অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিহতের ঘটনার ওপর এই সাক্ষাতকারটি নেওয়া হয়। আগুনের ওই ঘটনায় মেমেটেলি তার মা, কিশোরী বোন, ভাইদের এবং ছোট বোনকে হারান।
গত ২৪ নভেম্বর এই আগুনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চীনের নাগরিকরা ওই অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ভিডিওগুলোতে আগুনে আটকা পড়াদের চিৎকার করতে এবং বের হতে ফটক খুলে দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাতে দেখা যায়।
বাসিন্দারা বলছেন, তাদের ওপর তিন মাসের বেশি সময় ধরে কোভিড-১৯ এর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখা হয়েছে। এতে তাদের ব্যাপক দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।
এই অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে অনেক মানুষের শেয়ার করা ভিডিওতে ওই ভবনটি পুড়তে দেখেছি। তারা আগুন নেভাতে পারতো যদি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি কমপ্লেক্সটিতে যেতে পারতো। আগুন তিন ঘণ্টারও বেশি সময় জ্বলে। কিন্তু গাড়িগুলো সরু রাস্তার কারণে ভেতরে যায়নি এবং সেগুলো বাইরে অপেক্ষা করেছিল। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যদি ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো ভবনটির পেছনের সামরিক ক্যাম্পের দুই মিটার প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে যেত তাহলে তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতো এবং পানি দিয়ে আগুন নেভাতে পারতো। তারা আগুন নেভানোর এবং আমার পরিবারকে উদ্ধারের প্রচুর সময় পেয়েছে।
মেমেটেলি জানান, তারা চান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন তাদের দুর্দশার বিষয়টি উপেক্ষা না করে এবং বিষয়টি নিয়ে কথা বলে।
তিনি আরও জানান, তিনি জানেন না তার বড় ভাই ও বাবা এখন কোথায় আছেন। কারণ তার বাবা ১৬ বছর জেলে ছিলেন এবং তার বড় ভাইকে বন্দি শিবিরে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া যদি তার বাবা-ভাই বেঁচে থাকেন তবে তাদের সঙ্গে দেখা করার অনুমতিও চান তিনি।
উইঘুরদের দুর্দশার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সরব হওয়ার আহ্বান জানান মেমেটেলি। সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দিতে চীনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। যাদের সঙ্গে গত ১৭ বছর ধরে আমি সাক্ষাৎ করতে পারছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।