মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তুরস্কের ইস্তানবুলে চীনা দূতাবাসের বাইরে শত শত উইঘুর চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রতীকীভাবে চীনের উইঘুরের উরুমকির অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের পোস্টার পোড়ান।
গত বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অন্যান্য উইঘুরদের পাশাপাশি ‘উইঘুর ইয়ুথ’ এবং ইস্ট তুর্কিস্তান ফেডারেশন থেকে শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। বিক্ষোভকারীরা চীনের শূন্য কোভিড নীতি ও দেশটিতে উইঘুরদের ওপর চালানো নৃশংসতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয় এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ইস্ট তুর্কিস্তান ফেডারেশনের নেতা হাবিবুল্লাহ কোসেইনি এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি ইস্ট তুর্কিস্তানের মুসলিমদের সঙ্গে তুরস্কের মুসলিমদের ঐতিহ্যগত মিল রয়েছে উল্লেখ করে উইঘুরদের সমর্থন জানাতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি তুরস্ককেও তাদের প্রতি সংহতি জানাতে আহ্বান জানান।
কোসেইনি বলেন, আমরা পাথরের রাস্তায় শুয়ে পড়তে প্রস্তুত আছি এবং দূতাবাসের সামনে আমরা আরও তিনদিন এই বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।
এদিকে তুরস্কের পুলিশ এত সকালে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হওয়ায় বিস্মিত হয়েছে এবং একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভকারীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার হুমকি দেয়। তাদের এই হুমকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি পুলিশের এই আচরণে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোইলু এবং ইস্তানবুলের গভর্নর পৃথক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তের প্রতিশ্রুতি দেন।
আগামীকাল রোববারও চীনা দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে উইঘুর বিক্ষোভকারীরা। এর আগে ২৬ নভেম্বরও ইস্তামবুলে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জিনজিয়াং প্রদেশে উরুমকিতে উইঘুররা বাস করেন এমন এক আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ জন নিহত হন। লকডাউন থাকায় ভবনটির বাসিন্দারা বের হতে পারেননি। এরপর থেকেই চীনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। চীনের উইঘুর সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন ও উরুমকির অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শোক জানাতে তুরস্কের বিপুল সংখ্যক অধিকারকর্মী গত সপ্তাহেও রাস্তায় নেমেছিলেন।
বলা হচ্ছে, চীনের বর্তমান ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট সরকার এখন বড় ধরনের বিক্ষোভ মোকাবিলা করছে। যা ১৯৮৯ সালের তিয়ানআনমেন স্কয়ারে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের পর সবচেয়ে বড় জন অসন্তোষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।