মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশি, বাঙালি ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে তির্যক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বলিউডের অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ পরেশ রাওয়াল। রাজ্যটিতে বিজেপির হয়ে প্রচারণা চালাতে গিয়ে বিতর্কিত ওই মন্তব্য করেন তিনি। এরপর সমালোচনার ঝড় উঠার পর বাঙালি ইস্যুতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন এই অভিনেতা। -এনডিটিভি
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে একটি বার্তাও দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যটির ক্ষমতাসীন বিজেপির হয়ে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। প্রচারণার একপর্যায়ে তিনি বলেন, গুজরাটিরা মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করবেন, কিন্তু পাশের বাড়িতে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মেনে নেবেন না। এমনকি গুজরাটিরা কি বাঙালিদের জন্য মাছ ভাজবেন কিনা এমন প্রশ্নও তোলেন পরেশ। তার এই মন্তব্যের জেরেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে এদিন অভিনেতা পরেশ রাওয়াল ক্ষমা চেয়ে নেন।
মূলত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে গত মঙ্গলবার গুজরাটের ভালসাদে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন পরেশ রাওয়াল। সেখানে তিনি বলেন, বর্তমানে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম যথেষ্ট বেশি, তবে এই দাম কমে যাবে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। কিন্তু রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশিরা আপনাদের পাশেই বসবাস শুরু করলে কী হবে? তখন আপনি গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে কী করবেন? বাঙালিদের জন্য মাছ রান্না করবেন? তিনি আরও বলেন, গুজরাটের মানুষ মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করবে। কিন্তু এটা নয়…যেভাবে তারা কুকথা ব্যবহার করেন, তাদের মাঝে থাকতে সাধারণ মানুষকে মুখেও ডায়পার পরতে হবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, তিনি (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) প্রাইভেট বিমানে করে আসবে, আর এখানে রিকশায় বসে শো-অফ করবে। আমরা নিজেদের গোটা জীবন অভিনয় করে কাটিয়ে দিলাম, কিন্তু তার মতো নটঙ্কিওয়ালা (নাটকবাজ) কখনও দেখিনি। হিন্দুদের বিরুদ্ধে তিনি অশ্রাব্য কথা বলেন, আর (দিল্লির) শাহিনবাগে বিরিয়ানি বিতরণ করেন। পরেশ রাওয়ালের এই মন্তব্য নিয়েই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। অনেকের মতে, বিতর্কিত ওই মন্তব্যের মাধ্যমে বাঙালিদের অপমান করেছেন পরেশ। অনেকে আবার পরেশ রাওয়ালের বক্তব্যকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের প্রতি বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বলে উল্লেখ করেছেন।
বিতর্কিত এসব মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠতেই শুক্রবার সকালে টুইটার পোস্টে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। সেখানে তিনি বলেন, মাছ নিয়ে কোনও সমস্যাই নেই, কারণ গুজরাটিরাও মাছ রান্না করেন এবং খান। আমি বাঙালি বলতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ প্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের বোঝাতে চেয়েছি। এরপরও যদি আমার মন্তব্যে কারও মনে আঘাত লাগে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।