গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সদ্য অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ান পার্টনারশিপ সামিট (এসএপিএস) ও বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডসে দু’টি পুরস্কার জিতেছে জ্যাট হোল্ডিংস পিএলসি। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় কাঠের কোটিং কোম্পানিটির বাজারে অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া এসএপিস বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান ২০২২-এ “সেরা পেইন্ট ও কোটিং প্রস্তুতকারক (লার্জ)” এবং “সেরা পেইন্ট ও কোটিং রপ্তানিকারক (লার্জ) — এই দুই বিভাগে এসএপিএস বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
দক্ষিণ এশিয়ার সেরাদের সম্মাননা ও পুরস্কার দিয়ে থাকে সাউথ এশিয়ান বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। এর মাধ্যমে তুমুল প্রতিযোগিতামূলক এই বাজারে বিভিন্ন শিল্পের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি জানানো হয়। এ বছর জ্যাট হোল্ডিংসের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন সিইও/এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নিশাল ফার্দিনান্দো। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেলস অ্যান্ড টেকনিক্যাল বিভাগের ডিরেক্টর ওয়াসান্থা গুনারত্নে, বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড রাঙ্গা আবায়াকুন এবং মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার দিলশান রডরিগো।
এই অর্জনে আনন্দ প্রকাশ করে সিইও নিশাল ফার্দিনান্দো বলেন, “বৈশ্বিক মহামারি থেকে শুরু করে বর্তমান অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সংকটের মতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা আমাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা, সাবলীলতা ও দৃঢ়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি। এসব স্বীকৃতি এরই প্রমাণ দেয়। পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা দ্বারা বিবেচিত সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা এবং নতুন পণ্য তৈরি ও বাজারে আনার সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এসব নতুন পণ্যের মধ্যে আছে হোয়াইট বাই জ্যাট, মাস্টার্স অল-ইন-ওয়ান উড কোটিং এবং অল-ইন-ওয়ান সিলিং কোটিং। একইসাথে সেয়ারল্যাক, জে কেম ও ব্রাশ মাস্টার-এর মতো আমাদের প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলোর বৃদ্ধিও আমরা নিশ্চিত করছি। ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিক্যাল ইন্টিগ্রেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার ফলে আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক পণ্য অফার করতে পারছি। পাশাপাশি, টেকসই ব্র্যান্ড বিল্ডিং নিয়েও কাজ করতে পারছি। আমাদের এমন প্রচেষ্টাগুলো এসএপিএস বিজনেস এক্সেলন্স অ্যাওয়ার্ডস ২০২২ দ্বারা স্বীকৃতি পেয়েছে। এবং এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
২০০৩ সালে বাংলাদেশে পদার্পণ করে জ্যাট। এরপর ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসার প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে স্থানীয় বাজারে নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের প্রথম ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গুদামঘর এবং পরীক্ষাগার উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশের বাজারে ব্যাকওয়ার্ড ভার্টিক্যাল ইন্টিগ্রেশন পদ্ধতির সর্বোন্নত মানের কোটিং পণ্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে এই প্ল্যান্টটি তৈরি করা হয়েছে। জ্যাট হোল্ডিংসের বিনিয়োগ ও উৎসাহের সাহায্যে বাংলাদেশ আজ সর্বোচ্চ রপ্তানি-মানের আসবাবপত্র উৎপাদনের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।