চীনা কমিউনিস্ট সরকারের বিভিন্ন রকমের নৃশংসতা দেখছে তিব্বতের জনগণ।সম্প্রতি তাদের সংস্কৃতির ধ্বংস ও তাদের ওপর ক্রমাগত নৃশংসতা বেড়েছে। অবস্থা খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ‘ভয়েস এগেইনস্ট অটোক্রেসি’।
অবৈধভাবে তিব্বতের দখল নেওয়ার পর থেকে সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে তিব্বতিদের কয়েক দশকের সংগ্রাম আন্তজার্তিক নজরে এসেছে। স্থানীয় তিব্বতিরা বেইজিংয়ের অত্যাচারী শাসনের হাত থেকে তাদের মাতৃভূমি ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিব্বতিরা চীনের নিয়ম মেনে জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এমনকি নিরপরাধ সন্ন্যাসীদেরও তাদের ধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের সংস্কৃতি পালন করতে নিষেধ করা হচ্ছে। তাদেরও রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। তিব্বতের আশেপাশের নিরীহ সন্ন্যাসীদের নজরদারি করা হয় এবং এমনকি তাদের শরীরের ঢিলেঢালা লম্বা পোশাক খুলে ফেলতে বাধ্য করা হয়, যা তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।
চীন সরকার রাজনৈতিক কারণে যেসব তিব্বতিদের আটক করেছে তার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তিব্বতের আশেপাশের শত শত মঠের সন্ন্যাসীদের ‘বানোয়াট অভিযোগের’ ভিত্তিতে আটক ও অকল্পনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। বেশিরভাগ সময়ই তিব্বতের এই রাজনৈতিক বন্দীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। অনেক সময় নির্যাতনে তারা মারাও যান।
আটক ব্যক্তিদের তাদের পরিবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করা হয়। তাদের কোথায় রাখা হয় তা জানে না কেউই, যা তাদের জন্য ভিন্ন এক নির্যাতন।
‘ভয়েস এগেইনস্ট অটোক্রেসি’ তিব্বত ওয়াচ রিপোর্টের বরাতে বলছে, গেশে টেনসিন পেলসাং নামে এক সন্ন্যাসী রাজনৈতিক বন্দী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি নির্যাতনের কারণে মারা গেছেন। পেলসাং পূর্ব তিব্বতের ড্রেগো কাউন্টিতে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেওয়ার ‘বানোয়াট অভিযোগে’ ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছয় বছর কারাগারে ছিলেন।
কারাগারে অমানবিক আচরণে তার অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। চীনা কর্তৃপক্ষের ভিত্তিহীন কঠোর নিয়মের কারণে তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবাও দেওয়া হয়নি।
আরেকটি সূত্রের বরাতে ‘ভয়েস এগেইনস্ট অটোক্রেসি’ বলছে, ২০১৮ সালে পেলসাং মুক্তি পেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি নিজে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছিলেন না। কারণে বন্দিশালায় তাকে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছিল।