ক্রয় প্রক্রিয়ার শর্ত যথাযথভাবে পূরণ না হলে চীনের সঙ্গে সাবমেরিন কেনার চুক্তি বাতিল করতে পারে থাইল্যান্ড। দেশটির নেভি কমান্ডার-ইন-চিফ অ্যাডিএম চোয়েংচাই চমচোয়েংপেট গত সপ্তাহে বলেছেন, তারা চীনের সঙ্গে সাবমেরিন ক্রয় প্রকল্প থেকে সরে আসতে প্রস্তুত, যদি ক্রয়ের শর্ত প্রতিকূলে যায়। দ্য ব্যাংকক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
২০১৭ সালে থাইল্যান্ড একটি এস২৬টি ইউয়ান-শ্রেণির সাবমেরিন কিনতে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না শিপবিল্ডিং অ্যান্ড অফশোর ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির (সিএসওসি) সঙ্গে চুক্তি করে। ১ হাজার ৩৫০ কোটি থাই বাতের ওই চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালে সাবমেরিন হস্তান্তরের কথা ছিল।
ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী সাবমেরিনে জার্মানির এমটিইউ৩৯৬ ডিজেল ইঞ্জিন বসানোর কথা ছিল। কিন্তু বার্লিন চীনের কাছে সেই ইঞ্জিন বিক্রির অনুমতি দেবে না।
এ বছরের শুরুর দিকে সাবমেরিন গ্রাউন্ডে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় জার্মান কোম্পানি বলেছিল, তারা থাই সাবমেরিনে ইনস্টলেশনের জন্য চীনা কোম্পানি সিএসওসি-কে তাদের এমটিইউ৩৯৬ ডিজেল ইঞ্জিন সরবরাহ করবে না। আর এর পেছনে কারণ চীনে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সরকারের নিষেধাজ্ঞা।
ওই নিষেধাজ্ঞার কারণে জার্মান ইঞ্জিনের পরিবর্তে চীনের তৈরি একটি ইঞ্জিন ইনস্টলেশনের প্রস্তাব দিয়েছিল। আর তাতে রাজি না হলে চীন পিপলস লিবারেশন আর্মির পড়ে থাকা দুটি জাহাজ বা নৌকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় থাইল্যান্ডকে।
দ্য ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনে কলামিস্ট সেবাস্টিয়ান স্ট্র্যাঞ্জিও বলেছেন, থাই সরকার এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা জোর দিয়ে জানায়, চুক্তি অনুযায়ী জার্মান ইঞ্জিন ইনস্টল করতে হবে।