Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে দক্ষিণ সুদান

| প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ সুদানের সংকট গত তিন বছরে আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে একটি মাত্র ভাঙা সেতু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সংঘাত বন্ধের আশা। তবে পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ বলা হচ্ছে তা তার থেকেই বেশি ভয়াবহ। মূলত বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে সংঘাতের কারণেই দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে বলেন, বিশ্বের কনিষ্ঠতম স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদানে গণহত্যা ও আদিবাসী নির্মূল চলেছে। তারাই এখন বলছেন, দেশটি একইসঙ্গে দুটি বিষয়ই চলছে। জুলাইয়ে জুবা প্রদেশ এবং ইকোটরিয়া রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দেশটির তিন লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশ উগান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে।
চলতি বছর কোনো একটি দেশ থেকে এটা রেকর্ড পরিমাণ মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর সিরিয়া থেকে দুই লাখ মানুষ অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেই হিসাবের তুলনায় দক্ষিণ সুদান ছেড়েছে অনেক বেশি মানুষ। গড়ে প্রতিদিন আড়াই হাজার করে সুদানি শরণার্থী হয়েছেন। এছাড় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও আদিবাসী নিধনের ঘটনা তো ঘটেই চলেছে। নেলসন লাবু থমাস পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশ ছাড়ছেন। তার গন্তব্য উগান্ডা। পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ও আছে। একবার ধরাও পড়েছিলেন। একদিন পর আবারও তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। থমাস বলেন, তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। তারা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে না। তারা সোজাসুজি ছুরি দিয়ে মানুষ কেটে ফেলছে। তাদের হাত থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, তারা (জঙ্গিরা) আমাদের চায় না। আমি দিনকা আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্যা। তারা ইকোটরিয়া জিনকা আদিবাসী গোষ্ঠী দেখতে চায় না। তারা নুয়েরদের দেখতে চায় না। কিন্তু দেশ থাকলে তো মরতে হবে। তাই প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছি। দিনকা গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্টর সালভা কীর ও নুয়ের গোষ্ঠীল সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যকার বিভেদ থেকেই দুক্ষিণ সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর-এর উগান্ডা শাখার সমন্বয়ক নাসির আবেল ফার্নানদেজ বলেন, জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। দক্ষিণ সুদানে চলমান গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দেশটির নেতাদের ওপর চাপ দেওয়া। শরণার্থীদের জন্য কাবার ও বিযুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে বলে তিনি জানান। বিবিসি।



 

Show all comments
  • আবদুল খালেক ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:৩০ এএম says : 0
    আসলে জাতিসংঘের কাজটা কী? দক্ষিণ সুদানে গণহত্যা হচ্ছে, মায়ানমারে গণহত্যা হচ্ছে। তারা কিছুই করতে পারছে না ? নাকি ইচ্ছে করে করছেন না ?
    Total Reply(1) Reply
    • Faridul Alam ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৫:০৮ পিএম says : 4
      আসলে জাতিসংঘের কাজটা কী? দক্ষিণ সুদানে গণহত্যা হচ্ছে, মায়ানমারে গণহত্যা হচ্ছে। তারা কিছুই করতে পারছে না ? নাকি ইচ্ছে করে করছেন না ? - See more at: https://www.dailyinqilab.com/article/53778/মানচিত্র-থেকে-মুছে-যাচ্ছে-দক্ষিণ-সুদান
  • Md Siraj Udden ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৭ এএম says : 1
    দক্ষিন সুদান আবার সুদানের সাথে মিলিত হোক ।
    Total Reply(0) Reply
  • মাজহারুল ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:১০ এএম says : 0
    সুদান বা মায়ানমারে যারা মারা যাছে তারা তো মানুষ না তারা মোসলমান অার জাতি সংগ মোসলমান কে মানুষ মানুষ করেনা
    Total Reply(0) Reply
  • ওবাইদুল ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১০:৪৮ পিএম says : 0
    পশ্চিমা খৃস্টান দেশগুলির প্ল্যান হোল সব মুসলিম দেশগুলিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না দেওয়া । এই প্রক্রিয়ায় বড় দেশগুলিকে কয়েক টুকরা করে ছোট ছোট দেশে পরিণত করা । কোনো মুসলমান দেশ তাদের আজ্ঞাবহ না হোলে সেই দেশগুলিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া বা রাজনৈতিক অস্থিরতায় ডুবিয়ে দেওয়া । এরই ধারাবাহিকতায় সুদানকে তিন টুকরা করার লক্ষে দক্ষিণ সুদান, উত্তর সুদান ও পশ্চিম অঞ্চলে ওগাডেন করা হয় । এই কাজে সকল সময়ই সহযোগিতা করছে মুসলিম নাম ধারি একদল স্বার্থপর ।
    Total Reply(0) Reply
  • wazed kawsar ২৫ মে, ২০১৭, ২:২২ পিএম says : 0
    সামনাসামনি মুসলিম নামধারিদের দেখলেও এদের পিছনে রয়েছে পশ্চিমাদের সরাসরি মদদ ও প্রচুর অর্থ এবং অস্ত্রের যোগান। ঐ সব মুসলিম দেশে আই,এস নেই তাই তাদেরকে এই ভাবেই দংশ করার চেষ্টা পশ্চিমারা চালাচ্ছে। আর যেসব দেশে আই,এস আছে সেখানেতো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন। আসলে জংগি সংঘটন আই,এস বলি আর জাই বলি সব তৌরির পিচনে পশ্চিমারাই কাজ করেছে ।আর জাতি সংঘ তাতো পশ্চিমাদেরি একটি তুরুফের তাশ।জাতি সংঘ পরমানু আস্ত্র তৌরির জন্য যখন তখন যরতার উপর সবধরনের নিষেধাগ্ঘা জারি করতে পারে।আর কোন কাজ দেখনা তাদের। আসলে জাতি সংঘকে দিয়ে পশ্চিমারা নিজেদের সার্থ হাসিল করে। আর কিচুই না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ