মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ সুদানের সংকট গত তিন বছরে আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে একটি মাত্র ভাঙা সেতু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সংঘাত বন্ধের আশা। তবে পরিস্থিতি যতটা ভয়াবহ বলা হচ্ছে তা তার থেকেই বেশি ভয়াবহ। মূলত বিভিন্ন আদিবাসীর মধ্যে সংঘাতের কারণেই দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা মাঝে মধ্যে বলেন, বিশ্বের কনিষ্ঠতম স্বাধীন দেশ দক্ষিণ সুদানে গণহত্যা ও আদিবাসী নির্মূল চলেছে। তারাই এখন বলছেন, দেশটি একইসঙ্গে দুটি বিষয়ই চলছে। জুলাইয়ে জুবা প্রদেশ এবং ইকোটরিয়া রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে দেশটির তিন লাখ ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবেশী দেশ উগান্ডায় আশ্রয় নিয়েছে।
চলতি বছর কোনো একটি দেশ থেকে এটা রেকর্ড পরিমাণ মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনা। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছর সিরিয়া থেকে দুই লাখ মানুষ অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে। সেই হিসাবের তুলনায় দক্ষিণ সুদান ছেড়েছে অনেক বেশি মানুষ। গড়ে প্রতিদিন আড়াই হাজার করে সুদানি শরণার্থী হয়েছেন। এছাড় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও আদিবাসী নিধনের ঘটনা তো ঘটেই চলেছে। নেলসন লাবু থমাস পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশ ছাড়ছেন। তার গন্তব্য উগান্ডা। পথে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ভয়ও আছে। একবার ধরাও পড়েছিলেন। একদিন পর আবারও তিনি দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন। থমাস বলেন, তারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। তারা গুলি করে মানুষ হত্যা করছে না। তারা সোজাসুজি ছুরি দিয়ে মানুষ কেটে ফেলছে। তাদের হাত থেকে শিশুরাও রক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, তারা (জঙ্গিরা) আমাদের চায় না। আমি দিনকা আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্যা। তারা ইকোটরিয়া জিনকা আদিবাসী গোষ্ঠী দেখতে চায় না। তারা নুয়েরদের দেখতে চায় না। কিন্তু দেশ থাকলে তো মরতে হবে। তাই প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছি। দিনকা গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্টর সালভা কীর ও নুয়ের গোষ্ঠীল সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচারের মধ্যকার বিভেদ থেকেই দুক্ষিণ সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘের ইউএনএইচসিআর-এর উগান্ডা শাখার সমন্বয়ক নাসির আবেল ফার্নানদেজ বলেন, জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। দক্ষিণ সুদানে চলমান গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত দেশটির নেতাদের ওপর চাপ দেওয়া। শরণার্থীদের জন্য কাবার ও বিযুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে বলে তিনি জানান। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।