সড়ক দুর্ঘটনায় জিডিপির ক্ষতি ১ দশমিক ৬ শতাংশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সড়ক দুর্ঘটনার আর্থিক ক্ষতি বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ১ দশমিক ৬ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল
রফিক মুহাম্মদের দু’টি ছড়া
সবার আপনজন
ভাবতে লাগে ভালো
দূর করে সব কালো
এনে দিলে আলোক রাঙা ভোর
শিকল ছিঁড়ে খুলে দিলে বন্ধ সকল দোর।
ভাবতে গেলেই শিহরিত হয় যে মন প্রাণ
যুদ্ধে গিয়ে রক্ত দিলে জীবন করলে দান,
এনে দিলে স্বাধীনতা একটি অমর গান।
ভাবলে এখন গর্বে ভরে মন
মুক্তিযোদ্ধা তোমরা সবার প্রিয় আপনজন।
শোধ হবে না কোনোদিনই তোমাদের এ ঋণ
হৃদয় মাঝে তোমরা আছ থাকবে চিরদিন।
আমার গর্ব অহংকার
আমার অনেক অহংকার আর
আছে অনেক গর্ব
তুচ্ছ কোনো ঘটনাতে
হবে না তা খর্ব।
আমার আছে বায়ান্ন আর
শহীদ মিনার আছে
এমন গর্ব বিশ্বব্যাপী
আছে কারো কাছে?
স্বাধীনতার যুদ্ধ আছে
লক্ষ প্রাণের দান
হাজার হাজার মা-বোনেরাও
দিল তাদের মান।
এমন মহান কীর্তি কি আর
বিশ্বে আছে কারো?
তাইতো আমি গর্ব করি
করতে পারি আরো।
স্বাধীনতার যুদ্ধ এবং
ভাষার জন্য লড়াই
আমার বড় আহংকার আর
আমার গর্ব বড়াই।
রেজাউল ইসলাম হাসু
স্বাধীনতা
স্বাধীনতা উড়–উড়ু শালিকের ডানা,
ঘোর আঁধারের মাঝে আবিরের দানা।
উদ্যমে বয়ে চলা নউকোর পাল,
কামারের ভাতি থেকে উদিত সকাল।
রূপালি স্বপ্ন-বিভোর দূর জেলেপাড়া,
অতল সাগর বুকে পথ খোঁজে যারা!
তাঁতের বুননে বাঁধা রূপকথা কতো,
ছোট্ট আদুরে বোন, মায়ের মতো।
সোনায় হাসানো মাঠ লাঙলের ফলা,
মাটি থেকে জেগে ওঠা কুমারের কলা।
রিকশা-প্যাডেলে নাচা জীবন-আনন্দ,
ঝরে পড়া নক্ষত্রের সাহসিক ছন্দ।
তোমার তুলিতে শিল্পী ছবি এঁকে যায়,
পাপিয়ার মতো প্রাণ খুলে গান গায়।
তোমাকে পেলেই ফোটে হাসির বকুল,
ঢেউয়ে ছলকে ওঠে নদীর দো’কূল।
লিখতে নতুন সাধ কবিদের খাতা,
আমাদের স্বাধীনতা গউরব গাঁথা!
জীবন রাঙিয়ে লাল কিনেছি তোমায়,
স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছো আমায়।
গোলাম নবী পান্না
পথটি চেয়ে
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করেÑ
যুদ্ধে যেয়ে
যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতায়Ñ
ওঠলো গেয়ে।
খুশির সে স্রোত মিশলো এসেÑ
বিজয় পেয়ে
কিন্তু সে মা আজো আছেনÑ
পথটি চেয়ে।
শাহজাহান মোহাম্মদ
বিজয়ের গান
কলি ফুটে ছুটে এলো
বিজয়ের গান
স্বাধীনতা এনে দিলো
বাংলার প্রাণ।
কল্লোল ছলছল
ঢেউ ধরে তান
সাগরের জলে মিশে
জোসনার চাঁন।
খাল-বিল জলাশয়ে
পরিযায়ী পাখি
পুলকিত হয়ে উঠে
মায়েদের আঁখি।
খোন্দকার শাহিদুল হক
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
একাত্তরের ডিসেম্বরের চৌদ্দ তারিখ এলে
বুদ্ধিজীবীর হত্যাস্মৃতি দেয় যে ডানা মেলে।
একে একে দেশটা যখন হচ্ছিল হাতছাড়া
পাকহানাদার বুদ্ধিজীবীর করলো পিছু তাড়া।
পরাজয়ের গন্ধ পেয়ে উঠল তারা খেপে
সুযোগ বুঝে বুদ্ধিজীবীর ধরলো গলা চেপে।
ঘরের থেকে ধরে নিয়ে করলো তাঁদের গুম
কেড়ে নিলো বাঙালিদের হাজার রাতের ঘুম।
নৃশংসতার দৃশ্য দেখে রায়েরবাজার কাঁদে
হাজার এমন বদ্ধভূমি কাঁদে আর্তনাদে।
দেশের যত জ্ঞানী-গুণী হত্যা করে তারা
খুঁজতে হবে ঐ তালিকা তৈরি করে কারা?
কুখ্যাত সেই ঘাতকেরা আজও দেশে আছে
চিনতে তাদের ভুল হলে যে মরবে সবাই পাছে।
শহিদ তরে প্রণত হও, প্রতিজ্ঞ হও সবে
ওই ঘাতকের বিচার করেই ফিরবো ঘরে তবে।
সামিরা আক্তার দিপা
আমার দেশ বাংলাদেশ
এই যে আমার দেশ
চির সবুজ স্বাধীন দেশ
নদ-নদী আর সৌন্দর্যের দেশ
আমার বাংলাদেশ
কত রূপ, কত বাহার এই দেশের
এই তো আমার বাংলাদেশ
এই সোনালী সবুজ প্রান্তরে,
বিজয়ী দেশে বাস সকলের।
এই দেশে রয়েছে সুখ-দুঃখ ও ভালোবাসা,
এই তো আমার সোনার দেশ বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।