মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সন্তান হারানোর পর কেটে গেছে দীর্ঘ ৫১টি বছর। হারানো সন্তান কে যে আবার ফিরে পাবেন তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি মা আল্টা আপনতেনকো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের বাসিন্দা। ৫১ বছর আগে চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকায়, অন্য এক মহিলাকে মেয়ের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন আল্টা। যাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেই মহিলাই অপহরণ করেন তার মেয়েকে।
খবরে বলা হয়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে স্থানীয় একটি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীর কাছে মেলিসাকে খুঁজে বের করতে ডিএনএ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করেন মেলিসার বোন সারন হাইস্মিথ। এরই একপর্যায়ে মেলিসার বর্তমান আত্মীয়-স্বজনরা জানতে পারেন যে, চার্লসস্টোনের কাছে এমন একজন নারী আছেন, যার সঙ্গে মেলিসার ডিএনএনের মিল রয়েছে।
পরে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল, মেলিসার জন্ম দাগ ও জন্মদিনসহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিবিড়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন, চার্লসস্টোনের এ নারীই ৫১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেলিসা। গত শনিবার চার্লসস্টোন থেকে ১ হাজার ১০০ মাইল দূরের ফোর্ট ওর্থে গিয়ে মা-বাবা, বোন ও অন্যান্য আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করেন মেলিসা।
সারন হাইস্মিথ জানান, মেলিসাকে খুঁজে পেতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এমনকী, কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়রানির শিকারও হয়েছেন। মেলিসাকে অপহরণ করার পর অনেকেই মা'কে সন্দেহ করেছিলেন। কেউ কেউ আবার বলেছিলেন, মা হয়তো মেলিসাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছেন। এখন সব কিছুর অবসান ঘটেছে। বোনকে ফিরে পেয়ে অনেক খুশি। পরিবারে এখন আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে।
১৯৭১ সালের ২৩ আগস্ট মেলিসা হাইস্মিথ নামের এক বছর বয়সি শিশুটিকে টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থ থেকে অপহরণ করা হয়। তখন থেকেই হারিয়ে যাওয়া মেলিসার খোঁজ চালাতে থাকে পরিবারের সদস্যরা।
মেলিসার মা আল্টা আপনতেনকো বলেন, '১৯৭১ সালে তার মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য পরিচারিকার সন্ধান করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিই। ওই বিজ্ঞাপন দেখে এক নারী মেলিসার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন, যাকে আমি আগে থেকে চিনতাম না। কথাবার্তা পাকা হওয়ার পর ওই নারীর কাছে মেয়েকে দিয়ে আমি কাজে চলে যাই। সে সময় আমার রুমমেট বাসায় ছিলেন। কিন্তু বাসায় ফিরে শুনি ওই নারী আমার রুমমেটের অগোচরে মেলিসাকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।' সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।