চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত শিনজিয়াংয়ের উরুমকিতে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডে ১০ জনের মৃত্যুর ঘটনায় অস্ট্রিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছে উইঘুর কমিউনিটি। সোমবার দেশটির রাজধানী ভিয়েনায় চীনা দূতাবাসের সামনে তারা বিক্ষোভে অংশ নেয়।
অস্ট্রিয়ার উইঘুর কমিউনিটির প্রেসিডেন্ট মেলভান দিলশাতের নেতৃত্বে তারা বিক্ষোভে জমায়েত হয়। উইঘুর হত্যার প্রতিবাদে চীনা কমিউনিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে তারা স্লোগান দেয়। অগ্নিকাণ্ডের হতাহতের জন্য প্রার্থনা করে তারা। এ ছাড়া কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিক্ষোভে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানায় উইঘুররা। অন্যদিকে উইঘুরদের বিক্ষোভে অস্ট্রিয়ায় তিব্বতি কমিউনিটিও অংশগ্রহণ করে। তারা উইঘুরদের বিক্ষোভে সংহতি জানায়।
সপ্তাহখানেক আগে উরুমকির অগ্নিকাণ্ডে কোভিড
লকডাউনের অজুহাতে সিসিপির `ইচ্ছাকৃত নিষ্ক্রিয়তার’ কারণে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণ গেছে। ওই ঘটনার পরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বেইজিং, সাংহাই, নানজিং, উহান এবং চেংদুসহ প্রধান শহরগুলোতে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের পর পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে কোভিড বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। শহরটির ৪০ লাখ মানুষ এক সপ্তাহ ধরে কোভিড লক্ডাউনে গৃহবন্দী ছিলেন। আর অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের নিজ জেলার মধ্যে বাসে চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সাংহাইয়ে বিক্ষোভের প্রধান রুট বরাবর রাস্তার দুপাশে নীল রঙয়ের বড় বড় দীর্ঘ ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে। তারা বিক্ষোভের ছবি তুলতে চেষ্টা করা লোকজনকে বাধাও দিয়েছে এবং তাদের মোবাইল থেকে ছবি মুছে ফেলেছে।
সাংহাইয়ে এক বিক্ষোভ কভার করার সময় বিবিসির এক সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের সময় এড লরেন্স নামের ওই সাংবাদিককে পুলিশ মারধর করেছিল ও লাথি মেরেছিল বলে জানা গেছে। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সাংহাই ও রাজধানী বেইজিংয়ের পাশাপাশি চেংদু ও উহানের মতো বড় বড় জনবহুল এলাকায়
লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভের অসংখ্য ছবি অনলাইনে দেখা গেছে।
তবে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকেই এ সংক্রান্ত ছবি-পোস্ট যেন ব্যবহারকারীরা না দেখে বা এ বিষয়ে আলোচনা না করে, তা নিশ্চিতে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়।