পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যে বুলেট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, তা খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, জাতির দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে চোখের পলকে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। খন্দকার মোশতাক পলাশীর মীরজাফর। পলাশীর সেনাপতি মীরজাফর, আর বাংলাদেশের সেনাপতি জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া জড়িত না থাকলে আরেকটি খুনিচক্র তাকে হত্যার দুঃসাহস পেতো বলে আমি মনে করি না। ইতিহাস বড়ই নির্মম, বাঁচতে পারেনি জেনারেল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানাকে এতিম করেছে যে বুলেট, সেই বুলেট বেগম খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার নোয়াখালি জেলা শিল্পকলা একাডেমি মাঠে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতির ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না মন্তব্য করে ওবায়দুল বলেন, ইতিহাস কোনো স্বৈরাচারী প্রভুর রক্তচক্ষু পরোয়া করে না। ইতিহাসের আদালতের বিচারে কেউই রক্ষা পাবে না। অনেকেরই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়ে গেছে। বিদেশে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে, একদিন তাদের যে দণ্ড, সেই দণ্ডও কার্যকর করা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিবকোট পরলেই মুজিবসৈনিক হওয়া যায় না। মুজিবকোট খুনি খন্দকার মোশতাকও পরেছেন। মুজিবসৈনিক হতে হলে, মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে। আমার বার্তা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বঙ্গবন্ধুর কন্যার বার্তা। আওয়ামী লীগকে আরো ঐক্যবদ্ধ, আরো সংগঠিত, আরো সুশৃঙ্খল করতে হবে। নোয়াখালীর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর দুর্গ ছিল, এখন এটাকে শেখ হাসিনার শক্তিশালী দুর্গে পরিণত করতে হবে।
নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বাবুলের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি প্রমুখ।
নেত্রকোনা জেলা সম্মেলন : এদিকে নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আমাদের দেশেও সেই ভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেখ হাসিনা সরকার রুটিন মাফিক দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবেন। এই সরকারের অধীনেই দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি মির্জা ফখরুলকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, নেত্রকোনায় এসে দেখে যান সম্মেলনে মানুষের ঢল কাকে বলে। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। আওয়ামী লীগের শিকড় অনেক গভীরে পতিত। কয়েকটি সমাবেশ করে বিএনপির নেতারা সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে হেচড়ে নামানোর হুমকি দেয়। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ তাদেরকে নির্বাচনে পরাজিত করতে পারবে না। তাই এই মুহূর্তে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে মোক্তারপাড়া মাঠে নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, খেলা হবে, ডিসেম্বর মাসে খেলা হবে। আগামী নির্বাচনে দুর্নীতিবাজ, জঙ্গীবাদ ও আগুন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, তা হলে জনগণকে সাথে নিয়ে পাল্টা হামলা করা হবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে সরকারের নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বেশি বেশি করে জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানান। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আমিরুল ইসলামকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাড. সামছুর রহমান ভিপি লিটনের নাম ঘোষণা করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু এমপি সঞ্চালনায় অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রধানবক্তা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি এমপি। সম্মেলনে অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম এমপি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য মারুফা আক্তার পপি, ভাইস প্রিন্সিপাল রেমন্ড আরেং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।