Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিরোধীদের কোণঠাসা করতে গেরুয়া গেমপ্ল্যান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

 ফের উনিশের লোকসভার পুনরাবৃত্তি। সেবার ৩৭০ ধারা বিলোপ, রামমন্দির নির্মাণ আর তিন তালাক রদের মতো ইস্যুর প্রচার বিজেপিকে ভারতজুড়ে গেরুয়া ঢেউ তুলতে সাহায্য করেছিল। সেই ঢেউতে আসীন হয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য দিল্লির মসনদে ফিরেছিলেন মোদি-শাহরা। চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ফের ত্রিফলা ইস্যুর প্রচারে শান দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে এবার তাদের হাতিয়ার- জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন, নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ ও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড। চব্বিশের লোকসভার আগে এই ত্রিফলা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে ফের বাজিমাত করতে চাইছেন মোদি-শাহরা। এমনটাই বিজেপি সূত্রে খবর। নয়াদিল্লির বিজেপি সূত্রে খবর, এই তিনটি ইস্যু নিয়ে ভারতীয় সংসদের ভেতরে এবং বাইরে সরব হতে চলেছেন বিজেপি সাংসদরা। গোটা দেশজুড়ে এই ত্রিফলা ইস্যুকে প্রচারে এনে বিজেপির পক্ষে হাওয়া তৈরি করার জন্য ইতোমধ্যে পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গেমপ্ল্যান তৈরি করে ফেলেছেন। এই গেমপ্ল্যান অনুয়ায়ী দেশের প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্র ধরে ধরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হবে আগামী লোকসভা ভোট পর্যন্ত। জানা গেছে, এই গেমপ্ল্যানের সূত্র ধরেই সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল পেশ করতে পারেন মোদি। এ নিয়ে সংসদে বির্তক চলাকালীন দেশজুড়ে এর পক্ষে প্রচার করার কাজ শুরু করেছেন বিজেপি সরকারের মন্ত্রীরা। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রী গিরিরাজ সিং ইতোমধ্যে চীনের উদাহরণ টেনে বলেছেন, ‘চীন এক শিশুনীতি প্রয়োগ করে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এর ফলে চীন এগিয়ে যাচ্ছে। চীনে মিনিটে ১০ টি শিশু জন্মায় আর আমাদের দেশে ৩০টি। তাহলে আমরা কী করে এগোব।’ মন্ত্রীর এই কথায় এটা স্পষ্ট যে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইন আনতে বদ্ধ পরিকর মোদি সরকার। অন্যদিকে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে জন্মলগ্ন থেকেই প্রচারে রয়েছে গেরুয়া শিবির। ভারত কেশরি শ্যামপ্রসাদে মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন ছিল- এক দেশ, এক নিশান ও এক আইন। সেই নীতি আর্দশকে মান্যতা দিয়েই এগোয় বিজেপি। এটি তাদের অন্যতম রাজনৈতিক এজেন্ডা। আসন্ন গুজরাটের বিধানসভা ভোটে বিজেপির নির্বাচনি ইশতেহারেও সাফ বলা হয়েছে, বিজেপি রাজ্যে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতে পারলে, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করা হবে রাজ্যের সর্বত্র। একইভাবে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনি প্রচারে বলে চলেছেন, ‘দেশের সর্বত্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু করবে কেন্দ্রীয় সরকার।’ একইভাবে গুজরাটে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে আসা শরণার্থীদের বিধানসভা ভোটের আগে নাগরিকত্ব দিয়ে বিজেপি এই বার্তা দিয়েছে, তারা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করতে বদ্ধ পরিকর। যা নিয়ে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। জানা গেছে, চব্বিশের লোকসভা ভোটের দেড় বছর আগেই বিরোধীদের কোণঠাসা করতে বিজেপির ত্রিফলা প্রচারে মুখ কিন্তু থাকবেন নরেন্দ্র মোদিই। দলীয় সূত্রের খবর, বিজেপি মনে করছে কোভিড ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে দেশের উন্নয়ন ও বিকাশের পাশাপাশি অর্থনীতিরও হাল বেসামাল হতে দেননি মোদি। শুধু দেশজুড়ে নয়, বিদেশেও মোদির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি জনপ্রিয়তার নিরিখে দীর্ঘদিন ধরেই অন্য রাষ্ট্র প্রধানদের পিছনে ফেলে প্রথম স্থানে রয়েছেন। বিরোধীরা গত দুটি লোকসভা ভোটের মতো এবারও তাদের প্রধান মুখ বলে কাউকে সামনে আনতে ব্যর্থ হবেন। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ