মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০০ কেজি পিঁয়াজ বিক্রি করে লাভ মাত্র সাড়ে ৮ রুপি। এই বিক্রিবাটার জন্য ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শহরের সব্জির আড়তে পৌঁছেছিলেন কৃষক। সম্প্রতি এমনটা ঘটেছে কর্ণাটকে। গোটা ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে কর্ণাটের পিঁয়াজ চাষিদের। দু’টো বেশি লাভের আশায় সব্জির আড়তে এসে এতখানি হতাশ হতে হবে ভাবতে পারেননি তারা। কর্ণাটকের কৃষকের এই হতাশাজনক ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি কর্ণাটকের গডগ জেলার। যশবন্তপুর বাজারের সব্জির আড়তে পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়েছিলেন ৫০ জন কৃষক। সব্জিমণ্ডিতে পৌঁছতে ৪১৫ কিলোমিটার সফর করতে হয়েছিল তাদের। যদিও পিঁয়াজের কুইন্টাল প্রতি দর ওঠে মোটে ২০০ রুপি। দাম শুনে হতাশ হন কৃষকরা। অধিকাংশ চাষি উৎপন্ন ফসল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন। যদিও অন্যরকম ভাবেন পাওয়াপেড্ডা হাল্লিকেরি। ন্যূনতম দামেই ফসল বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গডগের তিমাপুর গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সঙ্গে ২০৫ কেজি পিঁয়াজ এনেছিলেন বিক্রির জন্যে। সব্জির আড়তে পড়তি দামের হিসাবে ৪১০ রুপি দাম হয়। শেষ পর্যন্ত লাভ হয় ৮ রুপি ৩৬ পয়সা। কেন? আসলে পেঁয়াজ বিক্রি করতে এসে একাধিক খরচ হয় তার। কুলিকে দিতে হয় ২৪ রুপি। পরিবহণ খরচে চলে যায় ৩৭৭ রুপি ৬৪ পয়সা। ফলে হাতে নগদ থাকে সাড়ে ৮ রুপি মতো। তার পেঁয়াজ কাণ্ড ও যাবতীয় হিসেবপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পাওয়াপেড্ডা হাল্লিকেরি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের ও সঙ্গী চাষিদের হতাশার কথা জানান তিনি। হাল্লিকেরির বক্তব্য, প্রতি বছর যশবন্তপুর বাজারে ফসল বিক্রি করেন। ভাল দাম পান। এই বছর পিঁয়াজের দাম এমন তলানিতে এসে ঠেকবে ভাবতে পারেননি। চাষিরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পিঁয়াজের দর ২০০ রুপি কুইন্টাল হলেও ক’দিন আগেও দর ছিল ৫০০ রুপি কুইন্টাল। গোটা ঘটনায় চাষিরা উদ্বেগে ভুগছেন। এই বিষয়ে প্রতিবাদ দেখাতে চান তারা। পিঁয়াজ চাষিরা দাবি করছেন, তাদের যাতে ন্যূনতম লাভ হয় সেকথা মাথায় রেখে ফসলের মূল্য ধার্য করুক রাজ্য সরকার। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।