জমাট রক্ষণে ব্রাজিলকে প্রায় রুখে দিতে যাচ্ছিল সুইজারল্যান্ড। ৮০ মিনিট পর্যন্ত রাফিনিয়া-ভিনিসিয়াসদের ঠেকিয়ে রেখে পয়েন্ট অর্জনের স্বপ্ন দেখছিল সুইডিশরা।তবে শেষ রক্ষা হলোনা।শেষ মুহুর্তে ক্যাসমেরিরোর দুর্দান্ত হাফ ভলির গোলে শাকিরিদের হৃদয় ভাঙে।১-০ ব্যবধানে স্বস্তির জয় তুলে নেয় ব্রাজিল।এ জয়ে দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ছয় পয়েন্ট তুলে নিয়ে শেষ ষোলোর টিকেট কেটে ফেলেছে তিতের দল।আক্রমণে পজিশনে এগিয়ে থাকলেও বিরতির আগে জালের দেখা পায়নি রিচার্লিসন-রাফিনিয়ারা।
স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ 'জি' গ্রুপের লড়াইটি এদিন তিতের দল শুর শুরুতে ছিল কিছুটা ছন্দহীন। ইনজুরিতে বাদ পড়া নেইমারের জায়গায় মূল একাদশে জায়াগা পেয়েছিলেন ফ্রেড।তবে নেইমারের শুন্যতা প্রথমার্ধে পূরণ করতে পারেননি তিনি।আক্রমণভাগেও এই তারকা ফরোয়ার্ডের অনুপস্থিতি টের পেয়েছে সেলেসাওরা।সুইডিশ গোলপোস্টে তাদের প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটি আসে ম্যাচের ২৮ তম মিনিটে।ডান-প্রান্ত থেকে বক্সে রাফিনিয়ার বাড়ানোর নিখুত ক্রসে ডি বক্সে আনমার্কড অবস্থায় থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়র প্রথম শট নেন।তবে দারুণ দক্ষতায় সেটি ঠেকান সুইডিশ গোলরক্ষক ইয়েন সমার। দুই মিনিট পর রাফিনিয়ার নেওয়া দূরপাল্লার শটও পরাস্ত করতে পারেনি সমারকে।ধীরে ধীরে চিরচেনা ছন্দময় ফুটবল খেলতে শুরু করে সেলেসাওরা।
বিরতির পর তিতে গতি বাড়াতে আক্রমণভাগে আনেন পরিবর্তন। প্রথমার্ধে গড়পড়তা ফুটবল খেলা পাকেতার বদলে রদিগ্রোকে নামান মাঠেন ব্রাজিলিয়ান বস।বাকিটা সময় ছিল শুধু ব্রাজিলময়।
৬৪তম মিনিটে ক্যাসমিরো এসিস্ট থেকেবল জালে পাঠান ভিনিসিয়াস।তবে ব্রাজিল সমর্থকদের হতাশ করে ভিএআরের দেখে রেফারি বাজান অফসাইডের বাঁশি। আক্রমণের শুরুতে অফসাইডে ছিলেন রিচার্লিসন।
সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলে ব্রাজিল আক্রমণে মনোযোগী হয়।ফল পেয়ে যায় খানিক পরে। ৮৩ মিনিটে বাতিল হওয়া গোলের এসিস্টের ভূমিকায় থাক ক্যাসমিরো এবার নিজেই স্কোরশিটে নাম লেখালেন।৮৩ মিনিটে ভিনিসিয়াসের ইনসাইড পাসে ডি বক্সে ফ্লিক করেন রদ্রিগো। ফাকা জায়াগায় বল পেয়ে যান ক্যাসেমিরো। হাফ ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে ব্রাজিলকে উল্লাসে মাতান তিনি। বাকি সময়টাতে গোলশোধের মরিয়া চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
বিশ্বকাপে এই প্রথম সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সেলেসাওরা।এই জয়ের পর ‘জি’ গ্রুপে ২ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সুইজারল্যান্ড। তৃতীয় স্থানে থাকা ক্যামেরুনের পয়েন্ট ১। চতুর্থ স্থানে থাকা সার্বিয়ার পয়েন্টও ১।