সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়াতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। এই নির্বাচনে টিকটক, বাইটড্যান্সন নামে বেইজিংভিত্তিক সামাজিক মাধ্যম ব্যাপক প্রভাব রেখেছে। আর এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় চীনের হস্তক্ষেপের উদ্দেশ্য পরিষ্কার হয়েছে।
সিঙ্গাপুর পোস্টের এক প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ভিডিও শেয়ারিং ওই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সেবা মালয়েশিয়ার তরুণদের ওপর প্রভাব ফেলে নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে। দেশটির ভোটাররা চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির চালানো প্রচারণায় ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। শুধু তাই নয়, দলগুলো ভোটারদের প্রভাবিত করতে অনেক ভিডিও তৈরি করেছিল এবং তরুণদের মধ্যে সমর্থন বাড়াতে সামাজিক মাধ্যমে প্রভাবশালী এমন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছিল। কারণ দেশটির তরুণরা এই সামাজিক মাধ্যম দুটি ব্যাপকভাব ব্যবহার করে।
সিঙ্গাপুর পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের ভোটে ৬ মিলিয়ন নতুন ভোটার ছিল। এদের মধ্যে ১.২ মিলিয়নেরও বেশি ভোটারের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২১ বছর। ভোট দেওয়ার বয়সসীমা কমানোর পর এরা ভোট দেওয়ার যোগ্য হয়ে উঠে।
মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি বা পিএএস দেশটির জাতিভিত্তিক রাজনীতিতে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছিল না। যদিও দেশের পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকায় কিছু নির্বাচনে জিতেছিল। টিকটক এবার সেই দলের নির্বাচনে প্রভাব তৈরি করেছে। এ ছাড়া নির্বাচনের ঠিক আগে মুহিউদ্দিন অসংখ্য মুসলিমের আবেগকে কাজে লাগিয়েছেন টিকটকের মাধ্যমে।
প্রকৃতপক্ষে, মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক দলগুলি প্রায়শই চীনা রাষ্ট্রীয় বয়ানের প্রতি সমর্থন জানায় এবং স্থানীয়দের কাছে সেই বর্ণনা পুনরাবৃত্তি করে। কারণ মালয়েশিয়ায় অসংখ্য চীনা প্রবাসী বাস করেন এবং চীনা-ভাষার মিডিয়ার ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে দেশটিতে।
মালয়েশিয়া হচ্ছে চীনা ভাষার বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার প্রধান কেন্দ্রস্থল এবং বেইজিং বা তার রাজনৈতিক মিত্ররা এই প্রচারণা চালিয়ে থাকে। তবে দেশটিতে অন্যান্য ভাষায় কোনো বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালানো হয় না।
মালয়েশিয়ার ডিজিটাল টেলিভিশন অবকাঠামোতে চীন-ভিত্তিক কোম্পানিগুলির উপস্থিতি নেই, তবে সিসিপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন অন্যান্য কোম্পানিগুলোর সামাজিক মাধ্যম ও মোবাইল ফোন সেক্টরে ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে।