Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সার্ব-আলবেনিয়া ফের উত্তেজনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

গাড়ির লাইসেন্স প্লেট নিয়ে কসোভোর জাতিগত সার্ব এবং আলবেনিয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। কসোভো যুদ্ধের ২৩ বছর পর সার্ব ও আলবেনিয়ান গ্রুপগুলোর মধ্যে আবার সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে উত্তেজনা কমাতে ২৩ নভেম্বর দুই পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, কসোভো হচ্ছে ইউরোপের ভূমিবেষ্টিত ছোট্ট একটি দেশ। এর চারদিকে রয়েছে বলকানের চারটি দেশ আলবেনিয়া, নর্থ মেসিডোনিয়া, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়া। অনেক সার্বিয়ান মনে করেন, এটাই হচ্ছে তাদের জাতির উৎপত্তিস্থল। কিন্তু কসোভোতে যে ১৮ লাখ মানুষ বসবাস করে, তাদের ৯২ শতাংশ আলবেনিয়ান আর ৬ শতাংশ সার্বিয়ান। বাকিদের মধ্যে আছে বসনিয়াক, গোরান, টার্কস ও রোমা। উনিশশো নব্বইয়ের দশকে যুগোসøাভিয়া থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা দাবি করেছিল কসোভো। কিন্তু তার জবাবে যে জাতিগত আলবেনিয়ানরা স্বাধীনতা চাইছিল, তাদের ওপর সার্বিয়া ভয়ানক দমন-পীড়ন অভিযান শুরু করে। এর অবসান ঘটে ১৯৯৯ সালে, যখন নেটো সার্বিয়ার বিরুদ্ধে বোমা হামলা অভিযান শুরু করে। এরপর কসোভো থেকে সার্বিয়ার সেনাদের সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু কসোভোর অনেক আলবেনিয়ান এবং সার্বিয়ানদের কাছে সেই বিরোধ এখনো শেষ হয়নি। নেটো নেতৃত্বাধীন কসোভো ফোর্স এখনো সেখানে মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে সেখানে ৩৭৭০ সেনা মোতায়েন করা রয়েছে। ২০০৮ সালে একতরফাভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে কসোভো। এখন জাতিসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ৯৯টি দেশ কসোভোর স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭ দেশের মধ্যে ২২টি দেশ রয়েছে। কিন্তু রাশিয়া ও চীন এখনো জাতিসংঘে কসোভোর সদস্য হওয়া আটকে রেখেছে। সার্বিয়া কখনোই কসোভোকে স্বীকৃতি দেবে না বলে অঙ্গীকার করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার ভুসিস। সার্বিয়া অথবা কসোভো কোনো দেশই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। তবে ২০১২ সাল থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছে সার্বিয়া। এদিকে কসোভো জানিয়েছে, তারা ২০২২ সালের শেষ নাগাদ ইইউ সদস্য পদের জন্য আবেদন করবে। বহুদিন ধরেই কসোভোর সার্ব সংখ্যালঘু গোষ্ঠী এবং আলবেনিয়ান নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যে খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে। ২০২২ সালে এই উত্তেজনা আইন অমান্য কর্মসূচীতেও গড়িয়েছিল। কসোভোর সরকার চায়, সেদেশের সার্ব এলাকার লোকজন গাড়িতে সার্বিয়ার ইস্যু করা লাইসেন্স প্লেট ব্যবহার করে, তার বদলে কসোভোর লাইসেন্স নাম্বার ব্যবহার করবে। কিন্তু সেসব এলাকার প্রায় ৫০ হাজার সার্বিয়ান বাসিন্দা কসোভার নাম্বার প্লেট ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ তারা কসোভোর স্বাধীনতা স্বীকার করে না। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ