মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার পর রাগের বশে প্রেমিকার খোঁপায় গুঁজল না, বরং ফুল দিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রেমিকাকে হত্যা করল জনৈক প্রেমিক। এমনটা হতে পারে? ফুল তো প্রায় ওজনহীন একটি জিনিস। কথায় বলে, ফুলের ঘায়ে মূর্ছা যায়! তা দিয়ে মানুষ খুন সম্ভব? শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছে বটে, তবে এও সম্ভব হতে পারে যদি ফুলটি হয় র্যাফ্লেসিয়া প্রজাতির। কারণ প্রকৃতির আজব খেয়ালে এই ফুলের ওজন হতে পারে ১০ থেকে ১১ কেজি অবধি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম ফুলও বটে।
ইন্দোনেশিয়ায় দেখা মেলে বিশ্বের বৃহত্তম ফুলের। র্যাফ্লেসিয়া-র ২৮টি ‘ভেরিফায়েড’ ও চারটি ‘আনভেরিফায়েড’ প্রজাতির খোঁজ মেলে পৃথিবীতে। এই ২৮ প্রজাতির একটি হল ‘র্যাফ্লেসিয়া টুয়ান-মুডায়’। বছর দুয়েক আগে ইন্দোনেশিয়ায় এই প্রজাতির ফুল পাওয়া গিয়েছিল। ওই ফুলের ব্যাস ছিল ১১১ সেন্টিমিটার বা তিন ফুট ছয় ইঞ্চি মতো। ওজন ছিল ১০ কেজিরও বেশি।
র্যাফ্লেসিয়া ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় ফুলও বটে। কোনও দেশে এমন আশ্চর্য ফুল পাওয়া গেলে তাকে জাতীয় ফুল না করে উপায়ও থাকে না। মাঝে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় একটি র্যাফ্লেসিয়া পাওয়া গিয়েছিল। সেটির ব্যাস ছিল ১০৭ সেন্টিমিটার। উল্লেখ্য, মাংসাশী উদ্ভিদের এই ফুলটি থেকে পচা মাংসের মতো গন্ধ বের হয়। এই গন্ধ পোকামাকড় ও মাছিদের আকৃষ্ট করে। ফুলের মাঝের গর্তে যখন পোকা বসে ঠিক তখনই বিরাট পাপড়িতে গাঁয়ে থাকা আঁঠা তাদের শরীরে লেগে যায়। এরপর ফুলটি পোকার দেহের নির্যাস শুষে নেয়।
আশ্চর্য ফুল র্যাফ্লেসিয়ার আয়ু এক সপ্তাহ মতো হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, র্যাফ্লেসিয়া নামকরণের পিছনে রয়েছেন এক ইংরেজ সাহেব। তিনিই এই ফুল আবিষ্কার করেছিলেন বহু বছর আগে, সেই ইংরেজ উপনিবেশ আমলে। ইন্দিনেশিয়াতেই এই ফুল খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। ভদ্রলোকের নাম ছিল স্যার স্যামফোর্ড র্যাফ্লেস । সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।