নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বেশ কয়েকটি ম্যাচ হয়ে গেছে, দারুণ কিছু লড়াইও দেখা গেছে এরই মধ্যে। কিন্তু বিশ্বকাপ মানে তো ফে মাঠের খেলাই নয়, এর অনেকটা জুড়ে থাকে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভক্তদের পাগলাটে উন্মাদনাও। তার দেখা মিলল আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ম্যাচে। নেচে-গেয়ে, উদযাপনে ৯০ মিনিট গ্যালারিতে যেন আনন্দমুখর এক উৎসবের পরিবেশ। গতপরশু রাতে লুসাইল স্টেডিয়ামে প্রায় ৮৯ হাজার দর্শকের সামনে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই জয়ে শেষ ষোলোর আশা জিইয়ে রেখেছে আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের আসরে টিকে থাকা নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের আবেদনের দিক থেকে বড় ব্যাপার। তবে কিছুটা সময়ের জন্য ম্যাচের ফলাফল একপাশে সরিয়ে রেখে কেবল ম্যাচটিকে ঘিরে দুই দলের সমর্থকদে উন্মাদনা দেখলেও লড়াইটির মাহাত্ম্য বেড়ে যাবে অনেকটাই। আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ভক্তদের দলকে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় ও আমুদে হিসেবে দেখা হচ্ছে। দুই দলের হাজার হাজার সমর্থকরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে হওয়া প্রথম বিশ্বকাপে তাদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন শুরু থেকেই। রাস্তায় রাস্তায় পার্টির আয়োজন করছেন তারা। তাদের দলে যোগ দিতে আগ্রহী আরব ভক্তদের স্প্যানিশ-ভাষার গানও শেখাচ্ছেন। তাদের ভিড়ে সেরা সমর্থকের খেতাব পেতে পারেন হিবা ফাউর। আর্জেন্টিনারকে হারানোর পর গণমাধ্যমের সামনে সউদী আরবের এক সমর্থক বলেছিলেন, ‘কোথায় মেসি? তার দলকে হারিয়েছি।’ এবার সেটারই উত্তর দিলেন আর্জেন্টাইন এই সমর্থক। মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় উদযাপন করতে করতে রয়টার্সকে মেসির ভক্ত হিবা বলেন, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে তাতিয়ে দিয়ো না, ‘মেসি এখনও এখানে, মেসি আছে, সে কখনও হাল ছাড়বে না। সে পুরো বিশ্বকে দেখাবে, বিশ্বকাপ আমাদের হাতে, আর্জেন্টিনার হাতে। মেসির সঙ্গে লাগতে এসো না। এটা মেসি।’
খেলা শুরুর আগে থেকেই স্টেডিয়ামে নিজেদের দলের জন্য গলা ফাটিয়ে ভিন্ন এক আবহ নিয়ে সমর্থকরা। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, তা কেবলই বেড়েছে। তবে সব সীমা ছাড়িয়ে যায় ৬৪তম মিনিটে মেসির গোলে আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাওয়ার পর। ম্যাচের আগে দোহা সমুদ্রের তীরে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকানদের ব্যানার দেখছিলেন লিওনেল মেসির জার্সি পরা সউদী আরবের ইব্রাহিম হুসেন। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘তারা সবচেয়ে পাগলাটে ও সেরা! আমরা ঠিক এমন কিছুর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।’ ইসরায়েলের দ্রুজ স¤প্রদায়ের সদস্য আয়মান কাদি অনেক পথ পারি দিয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন। তার মতে, এই ম্যাচ দেখে তার সব কষ্ট স্বার্থক, ‘আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। মেসির প্রথম গোলের পর গ্যালারির অবস্থা পাগলাটে হয়ে গিয়েছিল। দুই দিনের জন্য এখানে আসতে আমাকে অনেক টাকা গুনতে হয়েছে, কিন্তু তা এটির যোগ্য। এখানে থাকার কথা আমি কখনই ভুলব না।’
মেক্সিকোকে হারিয়ে পরের ধাপের যাওয়ার আশা বাঁচিয়ে রাখলেও বিপদ এখনও কাটেনি আর্জেন্টিনার। আগামী বুধবার মেসিরা মুখোমুখি হবে পোলিশদের। ওই ম্যাচেও জয়ের জন্য খেলতে হবে আলবিসেলেস্তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।