Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হিজাব ছাড়া যুবতীকে ব্যাংকে প্রবেশের অনুমতি, ‘শাস্তিস্বরূপ’ চাকরি গেল ম্যানেজারের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ৫:২০ পিএম

হিজাব না পরেই ব্যাংকে এসেছিলেন এক মহিলা। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে কাজ সেরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মহিলার পরনে হিজাব ছিল কিনা, তা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাননি ওই ব্যাংকের ম্যানেজার। সেটাই হল কাল। হিজাব ছাড়া মহিলাকে পরিষেবা দেয়ার অপরাধে চাকরি খোয়াতে হল ওই ব্যক্তিকে। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই ফের সরকারি দমনপীড়নের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। প্রায় দু’মাস ধরে ঘরে-বাইরে হিজাব নিয়ে তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েছে ইরানের প্রশাসন। তাতেও নিজেদের অবস্থান থেকে একটুও নড়েননি ইব্রাহিম রাইসিরা।

বছর বাইশের মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল ইরান। নীতি পুলিশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। অভিযোগ, পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। তাতেই অসুস্থ হন তিনি। যদিও পুলিশের দাবি ওই তরুণীকে মারধর করা হয়নি। গ্রেপ্তারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আক্রান্ত হন হৃদরোগে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই শুরু হয় আন্দোলন। রাজপথে নেমে আসে কাতারে কাতারে মানুষ। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করা শুরু হয়।

এমন পরিস্থিতিতেই প্রকাশ্যে এসেছে ইরানের ব্যাংকের ঘটনাটি। দেশের রাজধানী তেহরানের অদূরে কোম প্রদেশের এই ব্যাংকে বৃহস্পতিবার এসেছিলেন ওই মহিলা। হিজাব না পরেই ব্যাংকে এসেছিলেন তিনি। প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বেরিয়েও যান ওই মহিলা। গোটা ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, এরপরেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ম্যানেজারকে। ইরানের অধিকাংশ ব্যাংকই সরকারের অধীনে থাকে। সেখানে মহিলারা হিজাব পরে আসছেন কিনা, তা দেখার দায়িত্ব থাকে ম্যানেজারের উপরেই। সব মিলিয়ে, কাজে ‘গাফিলতি’র কারণেই চাকরি খোয়াতে হয়েছে ওই ম্যানেজারকে।

উল্লেখ্য, মহিলাদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে ইরানে। ওই আইনে বয়স সাত বছরের বেশি হলে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট নিয়মে পরতে হয় হিজাব। ‘নীতি পুলিশের’ দল হিজাব বিধি সঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কি না, তা তদারকি করে থাকে। কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পরেই হিজাব পরার বিষয়টি চাপিয়ে দেয়া হয় মেয়েদের উপরে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়েই মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। সেখান থেকেই হিজাব বিরোধী আন্দোলনে সামিল হন ইরানের বহু মানুষ। সূত্র: টাইমস নাউ।

 



 

Show all comments
  • Gajiulahsan ২৭ নভেম্বর, ২০২২, ৯:০৯ পিএম says : 0
    দারুণ সুসংবাদ । সব দেশের অনুসরণ করা উচিত ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Aflak Uddin Fakir ২৮ নভেম্বর, ২০২২, ৩:৫১ পিএম says : 0
    হিজাব বিরোধী আন্দোলন আসলে ইসলামী (ভ্রান্ত শিয়া মতের) সরকারের বিরুদ্ধে একটি পশ্চিমা গোপন চ্যালেঞ্জ।অন্যতায় পুলিশের বে আইনী কার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হতে পারে। এর প্রতিবাদে হিজাব পুড়ানো বা বর্জন কোন প্রতিবাদ নয়। ষড়যন্ত্র অথবা বাড়াবাড়ি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ