গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রামে ১০ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া পাঁচ বছর বয়সী শিশু আয়াতকে হত্যার পর লাশ কেটে ছয় টুকরা করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে সারা দেশে। এনিয়ে ক্ষোভ আর প্রতিবাদে ভাসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। শোকে স্তব্ধ গোটা দেশ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার আবির আলী (১৯) নামের এক তরুণকে আটকের পর এ তথ্য জানতে পেরেছে তারা। আবিরের পরিবার শিশু আয়াতের বাসায় ভাড়া থাকে।
১৫ নভেম্বর নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা ওয়াজ মুন্সিবাড়ি এলাকার সোহেল রানার মেয়ে আয়াত বাসার পাশে একটি মক্তবে বিকেলে পড়তে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, শিশুটি মক্তবে যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
আটক আবির আলী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ছয়–সাত লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশু আয়াতকে অপহরণ করেছিলেন। কিন্তু তার মুঠোফোনের সিম কাজ না করায় মুক্তিপণের জন্য শিশুটির পরিবারকে কল দিতে পারেননি। নিজে ধরা পড়ে যাবেন, এই ভয়ে শিশুটিকে কেটে ছয় টুকরা করেন। পরে তা সাগরে ভাসিয়ে দেন।
আবির আরও বলেন, সত্যিকারের অপরাধের ঘটনা নিয়ে তৈরি টিভি ধারাবাহিক ক্রাইম পেট্রোল দেখে তিনি এমন পরিকল্পনা করেছিলেন।
ফেসবুকে ক্ষোভ জানিয়ে টিপু সুলতান নামে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘এদেশের মানুষদের আর কত এমন নির্মম-নিষ্ঠুর ঘটনার স্বীকার হতে হবে?! স্বাধীনতা, মানব অধিকার বলতে আজ কিছুই নেই!! আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার পরিবারকে উত্তম ধৈর্য দান করুন!’’
ফরিদা ইয়াসমিন লিখেছেন, ‘‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। কিভাবে পারে মানুষ এতটা নির্দয় হতে। অন্যের বাচ্চা হলেও সে তো ছোট শিশুই... রাস্তায় ছোট শিশু দেখলেই আদর করতে ইচ্ছা হয় আর এ মেরেই ফেলল তাও টুকরা টুকরা...’’
চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে রাফি লিখেছেন, ‘‘আয়াতের খন্ডিত লাশ উদ্ধার। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। আয়াত হয়তো এতক্ষণে আল্লাহকে বিচার দিচ্ছে এই ছোট্ট শরীরের উপর অমানুষিক নির্যাতনের। একটা নিস্পাপ বাচ্চা। ছোট্ট একটা মানুষ। যে বাচ্চা মাকে ছাড়া একদিনও থাকেনি তাকে কত কষ্ট দিয়েই না মেরে ফেললো! এই দেশে থাকতে চাই না। এইদেশ আমাদের সন্তানদের জন্য কখনো নিরাপদ না।
একদমই না! Please keep your eyes on your babies.
এক মুহূর্তের জন্য ও চোখের আড়াল করবেন না।’’
প্রতিবাদ জানিয়ে আবিদ আহমেদ বাঁধন লিখেছেন, ‘‘মর্মান্তিক হৃদয়বিদারক। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি বলবো, মেনে নেয়া যায় না। এমন জঘণ্য নির্মমতার শেষ কোথায়?এমন একেকটা ঘৃ-ণিত ঘটনার বিরুদ্ধে আমাদের পদক্ষেপ শুধুমাত্র সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তারপর আর কিছুই হবে না সঠিক কোনো বিচার হবে না অতঃপর এরকম একইরকম ঘটনা আরো অহরহ দেখেই যেতে হবে যেমনটা প্রতিনিয়ত দেখেই চলেছি।এই দেশে জন্ম নেয়াটা ভুল ছিলো নাকি মানুষ হয়ে জন্ম নেয়াটা ভুল ছিলো বুঝে উঠতে পারি না মাঝেমাঝে। ওপারে ভালো থাকিস বোন আমার।’’
অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়ে মোঃ নিজাম উদ্দিন লিখেছেন, ‘‘এমন জঘন্য হত্যা, অপরাধ, অন্যায় গুলো হতেই আছে। যথাযথ আইনের প্রয়োগ হয়না বলেই এমনটি হার হামেশা হয়েই যাচ্ছে।
যথাযথ কতৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষী কে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মূলক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। কেবল তবেই পরিবার, সমাজে এমন হত্যা অপরাধ অন্যায় গুলো করার সাহস কেউ পাবেনা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।